Bizarre

বিরল যৌন আকাঙ্ক্ষা পূরণে দু’পা কেটে , বিমার ৫ কোটি টাকা নিয়ে গ্রেফতার চিকিৎসক, উদ্ধার ভয়ঙ্কর বিকৃত পর্ন ভিডিয়ো!

নিজের পা নিজে কেটে বিমার টাকা দাবি করেছিলেন এক চিকিৎসক। প্রায় ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎও করেন তিনি। কিন্তু অঙ্গহানির নেপথ্যে ছিল, বিকৃত যৌনবাসনা মেটানোর আকাঙ্ক্ষা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:৫২
A surgeon was punished after pleading guilty to fraud

ছবি: সংগৃহীত।

অদ্ভুত যৌন আকাঙ্ক্ষার শিকার হয়ে নিজের পা কেটে বাদ দিলেন এক চিকিৎসক! বিমা সংস্থাগুলির থেকে প্রায় ৫০০০০০ পাউন্ড (প্রায় ৫ কোটি টাকা) দাবিও করলেন। সব কিছু ঠিকই ছিল। বিমার টাকাও আত্মসাৎ করে ফেলেছিলেন চিকিৎসক। তবে মোটা টাকা আদায় করেও শেষরক্ষা হয়নি। তদন্তে ফাঁস হয়ে যায় চিকিৎসকের জালয়াতি। গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সম্প্রতি অভিযুক্তকে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

Advertisement

ব্রিটিশ চিকিৎসক ৪৯ বছর বয়সি নিল হপার ২০১৩ সাল থেকে ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত রয়্যাল কর্নওয়াল হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। ২০১৯ সালের এপ্রিলে ইচ্ছাকৃত ভাবে শুকনো বরফ ব্যবহার করে পা ঠান্ডা করা শুরু করেন হপার। বার বার একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে গিয়ে তাঁর পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শল্যচিকিৎসক হওয়ার সুবাদে তিনি নিজেই নিজের পা দু’টি কেটে ফেলেন। সেটিই অবশ্য হপারের দীর্ঘ দিনের আকাঙ্ক্ষা ছিল। আর নিজের অঙ্গহানির নেপথ্যে ছিল তাঁর বিকৃত যৌনবাসনা মেটানোর আকাঙ্ক্ষা। অঙ্গচ্ছেদের মাত্র ছ’মাসের মধ্যে হপার কৃত্রিম পা ব্যবহার করে পুনরায় কর্মক্ষেত্রে ফিরেছিলেন। ২০২৩ সালের মার্চে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সেই বছরের ডিসেম্বর মাসে মেডিক্যাল রেজিস্টার থেকে বরখাস্ত করা হয় তাঁকে।

হপারের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা চলাকালীন আরও একটি মারাত্মক অভিযোগ ওঠে। চরম অশ্লীল যৌন ভিডিয়ো রাখার অভিযোগ উঠেছিল হপারের বিরুদ্ধে। ভিডিয়োগুলি এমন একটি ওয়েবসাইট থেকে তিনি কিনেছিলেন যেখানে বিকৃত ভিডিয়োর ছড়াছড়ি। সেই সমস্ত ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছিল পুরুষেরা স্বেচ্ছায় তাঁদের যৌনাঙ্গ অপসারণ করছেন। বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হপার ওয়েবসাইট থেকে তিনটি ভিডিয়ো কিনেছিলেন ১০ পাউন্ড (প্রায় ১,১০০ টাকা) এবং ৩৫ পাউন্ড (৪,১০০ টাকা) দিয়ে। ওয়েবসাইটের মালিক গুস্তাভসনের সঙ্গে নিজের পা কেটে ফেলার বিষয়ে আলোচনা করে প্রায় ১৫০০টি বার্তা বিনিময়ও করেছিলেন হপার।

এক আইনজীবী জানিয়েছেন, হপার ছোটবেলা থেকেই ‘বডি ডিসফোরিয়া’য় ভুগছিলেন। তিনি মনে করতেন তাঁর পা দু’টি শরীরের অবাঞ্ছিত অঙ্গ। নিজের শরীরের অংশ অপসারণের প্রতি যৌন আগ্রহ থেকেই তিনি সেই কাজ করেন। আদালতে হপার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই স্বীকার করে নিয়েছেন। হপারকে ৩২ মাসের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন বিচারক জেমস অ্যাডকিন।

Advertisement
আরও পড়ুন