Bizarre

ভিডিয়োকলে কর্মীর উপর চিৎকার বসের! অসুস্থ হয়ে পড়েই গেলেন কর্মী, ভর্তি করানো হল হাসপাতালে

সাত মাস ধরে কর্মক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হয়েছেন এক তরুণ প্রযুক্তিবিদ। বেঙ্গালুরুর ওই তরুণের দাবি, তাঁর সংস্থার এক সিইও ভিডিয়োকল চলাকালীন এমন চিৎকার করেছিলেন যে শরীর খারাপ হয়ে যায় ওই তরুণের।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২৫ ১০:৩৬
A techie collapsed during a work video call

ছবি: প্রতীকী।

কর্মক্ষেত্রে হয়রানির ঘটনা নতুন নয়। আগেও ঘটেছে, এখন তার প্রকাশ্যে আসার প্রবণতা বেড়েছে। কেউ মুখ বুজে মেনে নেন সব কিছু, আবার কেউ প্রতিবাদ করেন। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর এক প্রযুক্তিকর্মীর সঙ্গে যা ঘটেছে তা নতুন করে কেরলের মৃতা তরুণী অ্যানা সেবাস্টিয়ানের ঘটনাকে মনে করিয়ে দিয়েছে। অভিযোগ, কর্মক্ষেত্রের চাপ সহ্য করতে না পেরে মারা গিয়েছিলেন অ্যানা। তাঁরই মতো সাত মাস ধরে কর্মক্ষেত্রে নাগাড়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন এক তরুণ প্রযুক্তিবিদ। বেঙ্গালুরুর ওই তরুণের দাবি, তাঁর সংস্থার এক সিইও ভিডিয়োকল চলাকালীন এমন চিৎকার করেছিলেন যে সেই আচরণের ফলে শরীর খারাপ হয়ে যায় ওই তরুণের। রেডিটে তিনি জানিয়েছেন, কর্মক্ষেত্রে তাঁর বসের রূঢ় ব্যবহারের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে।

Advertisement

২০২৪ সালের গোড়ার দিকে বেঙ্গালুরুর স্টার্ট-আপে যোগ দিয়েছিলেন পোস্টদাতা তরুণ। তিনি জুনিয়র ডেটা অ্যানালিস্ট পদে যোগ দিয়েছিলেন। তরুণের দাবি, প্রযুক্তিগত কোনও জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও প্রায়ই অধস্তনদের উপর প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করতেন তাঁর বস। তেমনই একদিন ভিডিয়োকলে মিটিং চলাকালীন প্রচণ্ড চিৎকার করতে শুরু করেন তিনি। তার ফলে তরুণ বুকে ব্যথা অনুভব করেন ও চেয়ার থেকে পড়ে যান। আওয়াজ শুনে পাশের ঘর থেকে তরুণের মা দৌড়ে এসে ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করান। সেই ঘটনার পরই সংস্থা থেকে পদত্যাগ করেন তরুণ প্রযুক্তিবিদ।

তরুণ লিখেছেন, ‘‘প্রতিটা দিন বস্‌ আমার কাজের খুঁটিনাটি দাবি করতেন। যদি আমার ব্যাখ্যা ত্রুটিহীন না হত, অথবা যদি কোনও প্রযুক্তিগত বিষয় তাঁর বোধগম্য না হত, তা হলে চিৎকার করে রাগে ফেটে পড়তেন।’’ সপ্তাহান্তে কাজ ও প্রতি দিন ১২-১৪ ঘণ্টা কাজ করা সত্ত্বেও কাজের স্বীকৃতি পাননি বলে দাবি করেন তরুণ। তাঁর মৌখিক আক্রমণ এতটাই নিষ্ঠুর ছিল যে তিনি সম্পূর্ণ রূপে ভেঙে পড়েছিলেন বলে পোস্টে জানান তরুণ।

Advertisement
আরও পড়ুন