ছবি: সংগৃহীত।
ভারী বৃষ্টি। আর তাতেই রাতারাতি ‘রক্তে’ ভাসল সাবেক পারস্যের দ্বীপ। অসাধারণ প্রাকৃতিক ঘটনার সাক্ষী রইল গোটা বিশ্ব। তীব্র বৃষ্টিপাতের পরে পারস্য উপসাগরের দ্বীপের সৈকত এবং অগভীর জলাশয় জুড়ে লাল রঙের বান। প্রবল বর্ষণের পর যেন ‘রক্তস্নাত’ ইরানের হরমুজ দ্বীপ। এই ঘটনা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই বিস্ময় ও কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে নেটাগরিকদের মনে। অদ্ভুত এই প্রাকৃতিক দৃশ্যের ভিডিয়োগুলি প্রকাশ্যে আসতেই তা ভাইরাল হয়েছে। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, প্রবল বৃষ্টিতে সৈকতের লাল মাটি ধুয়ে পাথর থেকে গড়িয়ে অত্যাশ্চর্য দৃশ্য তৈরি করেছে। লাল রঙের জলে উপকূলরেখাও রক্তিম হয়ে গিয়েছে। রক্তাভ হয়ে উঠেছে সমুদ্রের জলও। সমুদ্রের ঢেউগুলি সৈকতে আছড়ে পড়ার দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছে শোনিতের স্রোত মিশে গিয়েছে সমুদ্রে।
ভাইরাল ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘ওয়েদার মনিটর’ নামের একটি এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে। গোটা বিশ্ব এই অভূতপূর্ব দৃশ্য চাক্ষুষ করতে পেরেছেন। ইতিমধ্যেই লক্ষ লক্ষ মানুষ সেই ভিডিয়ো দেখেছেন। লাইক পড়েছে হাজার হাজার। ভিডিয়ো দেখে বিস্ময় আর কৌতূহলে ফেটে পড়েছেন নেটাগরিকেরা।
আকর্ষণীয় ঘটনার পিছনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাটি দ্বীপের ভূতাত্ত্বিক গঠনের মধ্যেই নিহিত রয়েছে। হরমুজ দ্বীপটি আয়রন অক্সাইড, বিশেষ করে হেমাটাইটে সমৃদ্ধ। সেই উপাদানই মাটি ও পাথরের লাল রঙের জন্য দায়ী। হেমাটাইট জল বা আর্দ্রতার সংস্পর্শে এলে দ্রুত জারিত হয়। খাড়া পাহাড়ের ঢাল বেয়ে লাল মাটির স্রোত সাগরে নেমে আসে। এর ফলে চারপাশের এলাকা ও সৈকত রক্তবর্ণ ধারণ করে। হরমুজ দ্বীপটি ‘পারস্য উপসাগরের রামধনু দ্বীপ’ নামেও পরিচিত। সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে সেখানে। বর্ষার সময় এই দ্বীপে ভিন্গ্রহ সৃদশ দৃশ্যের টানে জড়ো হন নানা দেশের পর্যটক।