Bizarre Incident

স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে, ‘একাকিত্ব’ দূর করতে একসঙ্গে দুই ছাত্রের সঙ্গে সঙ্গম শিক্ষিকার, বসে দেখল তৃতীয় জন

চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ইজ়রায়েলে। ছাত্রদের সঙ্গে যৌন মিলনের কথা স্বীকার করার পরেই ওই শিক্ষিকাকে চাকরিচ্যুত করা হয় বলে খবর।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২৫ ০৭:৫১
Israeli Teacher fired from job after getting intimate with two students as 3rd student watches the act

—প্রতীকী ছবি।

উঁচু ক্লাসের দুই ছাত্রের সঙ্গে সঙ্গম করছিলেন শিক্ষিকা। ত্রয়ীকে ঘনিষ্ঠ হতে দেখল অন্য এক পড়ুয়া। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাকরিচ্যুত করা হল অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ইজ়রায়েলে। ছাত্রদের সঙ্গে যৌন মিলনের কথা স্বীকার করার পরেই ওই শিক্ষিকাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে খবর।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টাইমস অফ ইজ়রায়েল’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঘটনাটি ঘটেছে ইজ়রায়েলের পেটাহ টিকভা শহরে। দুই ছাত্রের সঙ্গে সঙ্গম করার অভিযোগ ওঠে ৪৩ বছর বয়সি ইংরেজি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই ছাত্রদের সঙ্গে প্রথমে ধূমপান করেন শিক্ষিকা। ধীরে ধীরে তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এর পর দু’জনকে বাসভবনে আমন্ত্রণ জানান এবং একই সঙ্গে দু’জনের সঙ্গে সঙ্গম করেন। দুই ছাত্রের সঙ্গে ওই শিক্ষিকার মিলন তৃতীয় এক ছাত্র বসে দেখেন বলেও অভিযোগ।

অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরেই বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়েছিল ইজ়রায়েল জুড়ে। শুরু হয় তদন্ত। এর মধ্যে দুই ছাত্রের সঙ্গে একই সময়ে যৌন সম্পর্কের কথা স্বীকার করে ক্ষমা চান ওই শিক্ষিকা। তৎক্ষণাৎ চাকরিচ্যুত করা হয় তাঁকে। মহিলা আর কোনও দিন শিক্ষকতা করতে পারবেন না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে সে দেশের শিক্ষা মন্ত্রক। পাশাপাশি তিন বছরের জন্য তিনি কোথাও চাকরি করতে পারবেন না বলেও জানানো হয়েছে।

ইজ়রায়েলি শিক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, শিক্ষিকা স্বীকার করেছেন যে স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকতেন বলে তিনি ‘একাকিত্বে’ ভুগছিলেন এবং সে কারণেই ছাত্রদের সঙ্গে সঙ্গমের সিদ্ধান্ত নেন। প্রায়শই তিনি ছাত্রদের নিয়ে পার্টিতে যেতেন বলেও স্বীকার করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে মামলা চলছিল আদালতে। তবে সেই মামলাটি খারিজ করা হয়েছে সম্প্রতি। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় শিক্ষিকার আইনজীবী জানিয়েছেন যে, মামলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ, অভিযুক্ত স্কুলের শিক্ষিকা হলেও ওই দুই পড়ুয়ার ক্লাসে পড়াতেন না। অর্থাৎ, পড়ুয়াদের সঙ্গে সরাসরি শিক্ষকতার সম্পর্ক ছিল না অভিযুক্তের। পাশাপাশি, যা ঘটেছিল তা সকলের সম্মতিক্রমে হয়েছিল। যদিও আদালত ওই শিক্ষিকার কর্মকাণ্ডের কড়া নিন্দা করেছে বলেও জানা গিয়েছে। শিক্ষিকা পেশাগত সীমা লঙ্ঘন করেছেন বলেও মন্তব্য করেছে আদালত।

Advertisement
আরও পড়ুন