Viral Video

গণহত্যা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন, তখনই গুলি এসে লাগে ঘাড়ে! ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ নেতার শেষ মুহূর্তের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে

ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ইউটা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মঞ্চে বসে রয়েছেন চার্লি। তাঁর হাতে মাইক। পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। উত্তর দিচ্ছেন পড়ুয়াদের প্রশ্নের।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:০৯
Video shows exact moment when Right-Wing Activist and Donald Trump Ally Charlie Kirk got shot

ছবি: সংগৃহীত।

আমেরিকার ইউটা ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে খুন হয়েছেন মার্কিন প্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রক্ষণশীল নেতা চার্লি কির্ক। বুধবার ইউটা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ৩১ বছর বয়সি চার্লি। পড়ুয়াদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন তিনি। তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। মঞ্চেই লুটিয়ে পড়েন চার্লি। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবজার ডট কম।

Advertisement

ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ইউটা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মঞ্চে বসে রয়েছেন চার্লি। তাঁর হাতে মাইক। পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। উত্তর দিচ্ছেন পড়ুয়াদের প্রশ্নের। এমন সময় হঠাৎ একটি গুলি তাঁর ঘাড়ে এসে বিঁধে যায়। চেয়ারেই লুটিয়ে পড়েন চার্লি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এর পর ওই জায়গায় হইচই পড়ে যায়। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বন্দুকবাজের সন্ধান পায়নি পুলিশ। সন্দেহভাজন হিসাবে এক জনকে আটক করা হলেও পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

চার্লির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিয়োটি একটি ইউটিউভ চ্যানেল থেকে পোস্ট করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। উল্লেখ্য, ৩১ বছর বয়সি দক্ষিণপন্থী নেতা চার্লি টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসাবেও পরিচিত ছিলেন তিনি। হামলার কয়েক মুহূর্ত আগে গণহত্যা এবং বন্দুকবাজদের হামলা নিয়ে প্রশ্নেরই উত্তর দিচ্ছিলেন তিনি।

চার্লি গোঁড়া এবং রক্ষণশীল রিপাবলিকান হিসাবে পরিচিত ছিলেন। অনেকের মতে, শেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের সমর্থনে ঝোড়়ো প্রচার চালিয়ে ছাত্র-যুবদের ভোট রিপাবলিকান পার্টির ঝুলিতে নিয়ে এসেছিলেন তিনিই। তবে তাঁর রক্ষণশীল মন্তব্য নিয়ে বহু বার বিতর্কও দানা বেঁধেছিল। সম্প্রতি আমেরিকার কলোরাডো থেকে ভার্জিনিয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সফর করার পরিকল্পনা করেছিলেন চার্লি। নাম দিয়েছিলেন, ‘দ্য আমেরিকান কামব্যাক ট্যুর’। ওই সফরেই ইউটার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন চার্লি। প্রায় এক হাজার মানুষ তাঁর বিতর্কিত মতামতের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে তার আমন্ত্রণ বাতিল করার আহ্বান জানিয়ে অনলাইন আবেদনে স্বাক্ষর করেছিলেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়নি।

চার্লির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নিজস্ব সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘আমেরিকার যুবসমাজের হৃদয় চার্লির চেয়ে ভাল কেউ বোঝেনি বা বুঝতে পারেনি।’’ চার্লিকে ‘মহান’ এবং ‘কিংবদন্তি’ বলেও মন্তব্য করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প আরও লিখেছেন, ‘‘আমাদের সকলেরই চার্লির জন্য প্রার্থনা করা উচিত। তিনি এক জন দুর্দান্ত মানুষ ছিলেন। ঈশ্বর তাঁকে আশীর্বাদ করুন।”

Advertisement
আরও পড়ুন