Bengaluru

বার্ষিক বেতন লক্ষ লক্ষ টাকা, তার পরেও সপ্তাহান্তে অ্যাপ বাইক চালান প্রযুক্তিবিদ! কারণ শুনে হইচই নেটপাড়ায়

‘সাদ আকবর’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে করা সেই পোস্ট ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন। নেটাগরিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে পোস্টটি। প্রতিক্রিয়ার ঝড় উঠেছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:৪৭
Viral post claims Bengaluru Engineer ride app bike on weekends to beat loneliness

—প্রতীকী ছবি।

বার্ষিক বেতন বহু লক্ষ টাকা। তার পরেও সপ্তাহান্তে অ্যাপ বাইক চালান বেঙ্গালুরুর সফ্‌টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার! একাকিত্ব কাটাতেই নাকি ওই কাজ করেন তিনি। এক এক্স ব্যবহারকারীর পোস্টে সম্প্রতি ওই তরুণ ইঞ্জিনিয়ারের কথা উঠে এসেছে। সমাজমাধ্যমে হইচইও ফেলেছে সেই পোস্ট। শুরু হয়েছে আলোচনা।

Advertisement

ওই এক্স ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, সম্প্রতি এক নামী তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার সফ্‌টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর। ওই প্রযুক্তিবিদের বার্ষিক বেতন অনেক। তার পরেও সপ্তাহান্তে অ্যাপ বাইকের চালক হিসেবে কাজ করেন। তবে আর্থিক কারণে তিনি তা করেন না। বরং আধুনিক কর্পোরেট জগতে কাজ করতে করতে একা হয়ে প়়ড়ছেন তিনি। আর সেই একাকিত্ব কাটাতেই নাকি অ্যাপ বাইক চালক হিসাবে কাজ করেন তিনি। অপরিচিত যাত্রীদের সঙ্গে গল্প করতে করতে তাঁদের পৌঁছে দেন গন্তব্যে। তেমনটাই উঠে এসেছে এক্সের ওই পোস্টে।

পোস্টে এ-ও জানানো হয়েছে, অ্যাপ বাইক চালকেরা সাধারণত যে বাইক চালান, তার থেকে ওই প্রযুক্তিবিদের বাইকটি বেশ দামি। সেই গাড়িতে চড়িয়েই যাত্রীদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে দেন তিনি।

এক্স ব্যবহারকারী পোস্টে লিখেছেন, ‘‘এক জন অ্যাপ বাইক চালক দামি গাড়ি নিয়ে এসেছিলেন আমার কাছে। বাইকটি দেখে আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করি যে তিনি কী কাজ করেন এবং কেন অ্যাপ বাইক চালাচ্ছেন। জানতে পারি যে তিনি ইঞ্জিনিয়ার। সপ্তাহান্তে একাকিত্ব দূর করতে বাইক চালান।’’

‘সাদ আকবর’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে করা সেই পোস্ট ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন। নেটাগরিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে পোস্টটি। প্রতিক্রিয়ার ঝড় উঠেছে। নেটাগরিকদের অনেকেই অনেক বেতন পান অথচ একাকিত্বে ভুগছেন এমন প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে দেখা হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। এক নেটাগরিক পোস্টটি দেখার পর লিখেছেন, ‘‘আমারও একই রকম অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি দেখেছি কী ভাবে এক জন বার্ষিক ৩২ লক্ষ টাকা বেতন পাওয়া ইঞ্জিনিয়ার একাকিত্বে ভুগছেন এবং সপ্তাহান্তে একাকিত্ব দূর করতে গাড়ি চালাচ্ছেন।’’ পোস্টটি দেখার পর কর্পোরেট কর্মীদের কর্মজীবনের ভারসাম্য, মানসিক স্বাস্থ্য এবং কর্পোরেট সংস্কৃতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

Advertisement
আরও পড়ুন