Bizarre Incident

৩৫ দিন ঘন জঙ্গলে, ৫০টি ইঁদুর খেয়ে ১৪ কেজি ওজন কমালেন তরুণী! বেরিয়ে এলেন ছিপছিপে চেহারা নিয়ে

চিনের বাসিন্দা ওই তরুণীর নাম ঝাও তিঝু। ঝাও জানিয়েছেন, সম্প্রতি একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তার জন্য দীর্ঘ দিন জঙ্গলে কাটাতে হত তাঁকে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:১৩
Woman from china survives for 35 Days in wild by eating 50 Rats, loses 14 Kg

—প্রতীকী ছবি।

৩৫ দিন ঘন জঙ্গলে আটকে। বেঁচে থাকতে খেয়েছিলেন ৫০টি ইঁদুর। আর তা খেয়েই ১৪ কেজি ওজন কমিয়ে ছিপছিপে হলেন ২৫ বছর বয়সি এক তরুণী। ঘটনাটি চিনের। কী ভাবে জঙ্গলে এত দিন ধরে টিকে ছিলেন, সেই অভিজ্ঞতা ইতিমধ্যেই ভাগ করে নিয়েছেন ওই তরুণী।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিনের বাসিন্দা ওই তরুণীর নাম ঝাও তিঝু। ঝাও জানিয়েছেন, সম্প্রতি একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তার জন্য দীর্ঘ দিন জঙ্গলে কাটাতে হত তাঁকে। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হত। সাধারণত জঙ্গলে বেঁচে থাকা মানে শক্তি এবং সহনশীলতার পরীক্ষা। কিন্তু সেই সময়কে তিনি ওজন কমানোর একটি উপায় হিসাবে কাজে লাগানোর কথা ভাবেন।

ঝাও জানিয়েছেন, পূর্ব চিনের ঝেজিয়াং প্রদেশের একটি দ্বীপে ১ অক্টোবর ‘ওয়াইল্ডারনেস সারভাইভাল’ নামে ওই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। ৫ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৩৫ দিন জঙ্গলে ছিলেন তিনি। জঙ্গলে থাকাকালীন অনেক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হন ঝাও। ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় তাঁর চামড়া শক্ত হয়ে যায়। অসংখ্য পোকামাকড়ের কামড় সহ্য করতে হয় তাঁকে। ঝাও ব্যাখ্যা করেছেন, জঙ্গলে থাকাকালীনই ওজন কমানোর কথা মাথায় আসে তাঁর। ওজন কমানোর জন্য জঙ্গলের মধ্যে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজন ছিল। সে কারণে ৩৫ দিন ধরে ৫০টি ইঁদুর শিকার করে খান তিনি। তিনি যখন প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিলেন, তখন তাঁর ওজন ছিল ৮৫ কেজি। প্রতিযোগিতা শেষে ওজন কমে দাঁড়ায় ৭১ কেজিতে। ঝাওয়ের দাবি, ‘ইঁদুর ডায়েটের’ কারণেই সম্ভব হয়েছে তেমনটা।

৪ নভেম্বর দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর প্রতিযোগিতা ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ঝাও। দীর্ঘ ৩৫ দিন পর জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসেন। ঝাও জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন তিনি। পুরস্কার বাবদ পেয়েছেন প্রায় ৯০ হাজার টাকা।

উল্লেখ্য, ঝাওয়ের কাহিনি প্রকাশ্যে আসার পরেই চিন জুড়ে হইচই শুরু হয়েছে। আলোড়ন পড়েছে সমাজমাধ্যমে।

Advertisement
আরও পড়ুন