Usthi Rape And Murder Case

৮ বছরের বোনকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের পর গলা টিপে, চোখ উপড়ে খুন! উস্তিতে গ্রেফতার তরুণ

পুলিশ সূত্রের খবর, প্রথমে একবার নাবালিকাকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত। দ্বিতীয়বার আবার ধর্ষণ করতে যান। তখন মেয়েটি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। তখনই তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন অভিযুক্ত।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:১১
Usthi Rape And Murder Case

—প্রতীকী চিত্র।

জেঠু, জেঠিমা চিকিৎসা করানোর জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে আট বছরের বোনকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল তুতো দাদার বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উস্তি থানায় এলাকায়। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, উস্তি থানার ৮ বছরের মেয়েটি শিশুদিবসের (১৪ নভেম্বর) নিখোঁজ হয়ে যায়। সে দিন তার বাবা-মা বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়ি ফিরে মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি দম্পতি। দ্বারস্থ হন পুলিশের। রাতভর খোঁজাখুঁজির পরে পরদিন সকালে নাবালিকাকে বাড়ির অদূরে পাওয়া যায়, তবে মৃত অবস্থায়। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে মৃত বালিকার তুতো দাদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সে দিন জেঠু-জেঠিমার অনুপস্থির সুযোগ নিয়ে বোনের ঘরে ঢুকে তাকে চকোলেট খাওয়াবে বলে বাইরে নিয়ে যান ১৯ বছরের তরুণ। এর পর নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে বোনের উপর নির্যাতন চালান বলে অভিযোগ। যৌন হেনস্থার পরে শ্বাসরোধ করে খুন করতে যান। এখানেই শেষ নয়, বালিকার মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো হয়। এ-ও অভিযোগ, সেই সময় তার চোখ উপড়ে নেন দাদা।

পুলিশ সূত্রের খবর, প্রথমে একবার নাবালিকাকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত। দ্বিতীয়বার আবার ধর্ষণ করতে যান। তখন মেয়েটি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। তখনই তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন অভিযুক্ত। ওই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয়েরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত নাবালিকার পরিবার অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

রবিবার ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে বলেন, “অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে হাজির করানোর পরে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অভিযুক্ত যাতে সর্বোচ্চ সাজা পান, আমরা সেই পদক্ষেপই করছি।”

Advertisement
আরও পড়ুন