—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
প্রতিবেশী কিশোরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পর পর কোপানোর অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির শিবদাসপুর থানার অন্তর্গত বোরা কালীতলা এলাকায়। কী কারণে ওই কিশোরকে কোপালেন যুবক, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের পরিবারের দাবি, তাদের ছেলে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তিন বার রিহ্যাবেও পাঠানো হয়েছিল তাঁকে!
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতের দিকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র দেবাংশ সরকার নামের এক কিশোরকে কোপানোর অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম শুভ মজুমদার। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অতর্কিতে দেবাংশের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন অভিযুক্ত। তার পরে কিছু বোঝার আগে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকেন। দেবাংশের চিৎকারে স্থানীয়েরা ছুটে এলে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যান শুভ। ওই অবস্থায় দেবাংশকে উদ্ধার করে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শিবদাসপুর থানার পুলিশ। অভিযোগ পাওয়ার পরেই অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করে তারা। বেশ কিছু ক্ষণ পর এলাকারই একটি বাগানের মধ্যে থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছে দেবাংশের পরিবার। তার মা বুল্টি সরকারের কথায়, ‘‘আমার ছেলের যে এই অবস্থা করল, তাঁর ফাঁসি চাই।’’
অন্য দিকে, শুভ হঠাৎ কেন এমন করলেন, তা বুঝতে পারছে না তাঁর পরিবার। তারা জানায়, আগে সাত বছর মুম্বইয়ে কাজ করতেন শুভ। সেখানেই হেরোইনের নেশা ধরেন। বাড়ি ফিরে আসার পর এক বছর ঠিকই ছিলেন। কিন্তু প্রায়ই গাঁজার নেশা করতেন। তাঁর মানসিক অবস্থার অবনতি দেখে রিহ্যাবে পাঠানো হয়। ফিরে আসার পর সুস্থই ছিলেন। তার পর আচমকা কেন দেবাংশের উপর হামলা করলেন, তা বোধগম্য হচ্ছে না শুভর পরিবারের। পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।