বুধবার বিধানসভায় ফুলমেলার উদ্বোধনে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্য অতিথিরা ।
ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর) সংক্রান্ত শুনানি পর্ব শেষ হওয়ার পর আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানালেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে অধিবেশন ডাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অধিবেশন শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হবে বলেই তিনি আশাবাদী।’’
প্রসঙ্গত, প্রতিবছর নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন বসে। কিন্তু এ বছর ভোটার তালিকার সংশোধন প্রক্রিয়া চলার কারণে অনেক বিধায়ক ব্যক্তিগত ভাবে স্পিকারকে অনুরোধ করেন যে অধিবেশন ডাকা হলে এসআইআর প্রক্রিয়ায় তাঁরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সেই আবেদন মেনে নিয়ে এ বছরে শীতকালীন অধিবেশন নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে হয়নি। যদিও, এই শীতকালীন অধিবেশনের পর আর মাত্র একটি অধিবেশন বাকি থেকে যাবে। তা হল অন্তর্বর্তী বাজেট অধিবেশন। যেখানে রাজ্য সরকার নিজের শেষ তিন মাসের বাজেট পেশ করে বিধানসভা নির্বাচনে যাবে।
বুধবার স্পিকার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বার্ষিক ফ্লাওয়ার্স শো নিয়েও মন্তব্য করেন। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান করেননি বিরোধী দল বিজেপির কোনও সদস্য। স্পিকার বিমান বলেন, “প্রতি বছরই ফ্লাওয়ার্স শো হয়, সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। অনেক বিধায়ক, সাধারণ মানুষ ও অংশগ্রহণকারীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কারা কেন আসেননি, তা আমি জানি না। এখানে ফুলের কোনও জাত নেই, ফুলের কোনও রাজনীতিও নেই।” বিরোধীদের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘কেন তাঁরা এলেন না, সেই প্রশ্নের উত্তর বিরোধীদলই দিতে পারবে। তাঁদের কাছে গেলেই সঠিক উত্তর পাওয়া যাবে।’’
আসন্ন বিধানসভা অধিবেশনের সাফল্য নিয়ে আশাপ্রকাশ করে বিমান বলেন, ‘‘সরকার ও বিরোধী—সব পক্ষই অধিবেশনে অংশ নেবে এবং তা শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলবে।’’ নতুন বছরের প্রাক্কালে তিনি সরকার ও বিরোধীদলের সকল সদস্যকে শুভেচ্ছা জানান।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বিমান বলেন, “আমাদের পূর্বপুরুষরা বাংলাদেশি ছিলেন—এমন ধারণা এখনও চলতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি না। এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার নিশ্চয়ই তাদের চিন্তাভাবনা করবে এবং কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।” তাঁর মতে, পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমেই এই ধরনের সংবেদনশীল বিষয়গুলির সমাধান হওয়া উচিত।