Marriage Controversy in Bardhaman

বিধবা মাকে পাত্রস্থ করেছেন ছোট ছেলে, রাগে বাড়ি ভাঙচুর বড় ছেলের, স্বামী-পুত্র নিয়ে স্টেশনে ঠাঁই মহিলার!

বাদশাহি রোডের শর্মাপাড়ার বাসিন্দা রিনা ঘোষের দুই পুত্র। মহিলার স্বামী মারা গিয়েছেন বছর ছয়েক আগে। রিনা পরিচারিকার কাজ করতেন। সম্প্রতি মায়ের আবার বিয়ে দেন ছোট ছেলে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫ ১৮:৪৩
Bardhaman Marriage

এখন স্টেশনই আশ্রয় তিন জনের! —নিজস্ব চিত্র।

ছোট ছেলে দাঁড়িয়ে থেকে মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে দিয়েছেন। তাতেই গোসা বড় ছেলের। তিনি দলবল জুটিয়ে মা-ভাইকে মারধর করে বাড়ি ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। আশ্রয় খুইয়ে ছোট ছেলে এবং স্বামীকে নিয়ে বর্ধমান স্টেশনে ঠাঁই নিয়েছেন ওই মহিলা। পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। পূর্ব বর্ধমানের ঘটনা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, বাদশাহি রোডের শর্মাপাড়ার বাসিন্দা রিনা ঘোষের দুই পুত্র। মহিলার স্বামী মারা গিয়েছেন বছর ছয়েক আগে। রিনা পরিচারিকার কাজ করতেন। সম্প্রতি মায়ের আবার বিয়ে দেন ছোট ছেলে। পাত্র রাজমিস্ত্রি। নাম রাকেশ সরকার। নবদম্পতির দাবি, তাঁরা সকলকে জানিয়ে বিয়ে করেছেন। সামাজিক ‘নিয়ম’ মেনে গাঁটছড়া বাঁধেন। কিন্তু জ্যেষ্ঠপুত্র বিকাশ ঘোষ মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে মানতে নারাজ। রিনার দ্বিতীয় স্বামী রাকেশ সরকারের অভিযোগ, ‘‘গতকাল (রবিবার) বিকেলে হঠাৎ বড় ছেলে দলবল জুটিয়ে আমাদের মারধর করে। ভাঙচুর চালায় বাড়িতে। আমাদের বাড়িছাড়া করার হুমকি দেয়। কেন আমরা প্রেম করে বিয়ে করেছি, তা নিয়েই ওর ক্ষোভ।’’ ওই ব্যক্তি জানান, তিনি মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের বাসিন্দা। ভালবেসে রিনার হাত ধরেছেন। সারা জীবন পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন।

রিনার ছোট ছেলে আকাশ ঘোষ বলেন, ‘‘ঘরের সব জিনিসপত্র ভাঙচুর করে দিয়ে গিয়েছে দাদারা। একটি বাড়িতে ভাড়া নিয়ে ছিলাম। বাড়ির মালিককেও হুমকি দিয়ে গিয়েছে। আমাদের কাছে আর টাকা নেই। প্রায় না-খেয়ে আছি। বৃষ্টির মধ্যে স্টেশনে রাত কাটাচ্ছি সকলে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘দাদার রাগের আরও একটা কারণ, মা আমাকে একটা টোটো কিনে দিয়েছে।’’ রিনারা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলরকেও বলেছেন। কিন্তু কেউ কোনও পদক্ষেপ করেননি বলে অভিযোগ। রিনার কথায়, ‘‘আমি তো সামাজিক নিয়ম মেনে বিয়ে করেছি। অন্যায় তো কিছু করিনি। কিন্তু তার পরেও এত অপমান!’’ মহিলার সংযোজন, ‘‘এক দিনের মধ্যে বিহিত না হলে স্বামী আর ছোট ছেলেকে নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেব।’’

এ নিয়ে জেলা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি দেখছে।

Advertisement
আরও পড়ুন