Suvendu Adhikari

দিঘায় মন্দির উদ্বোধনের দিনেই কাঁথিতে ‘সনাতনী সম্মেলনের’ অনুমতি পেলেন শুভেন্দু, তবে লোকসংখ্যা বেঁধে দিল হাই কোর্ট

কাঁথিতে ‘সনাতনী হিন্দু সম্মেলন’ করতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল একটি সংগঠন। মঙ্গলবার সেই সম্মেলন করার অনুমতি দিল আদালত। সেই সম্মেলনের প্রধান বক্তা শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৪৬
Calcutta High Court allows Subhendu Adhikari\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\'s Hindu conference in Kanthi

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের দিনেই (৩০ এপ্রিল, বুধবার) কাঁথিতে ‘সনাতনী হিন্দু সম্মেলন’ করার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ওই সম্মেলনের প্রধান বক্তা শুভেন্দু অধিকারী। তবে কিছু শর্তও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সোমবার দীর্ঘ ক্ষণ ধরে এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। কিন্তু মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। মঙ্গলবার লোকসংখ্যা বেঁধে দিয়ে কাঁথির কর্মসূচির অনুমতি দিলেন বিচারপতি ঘোষ। তিনি জানান, তিন হাজার লোক নিয়ে এই সভা করা যেতে পারে। বেঁধে দেওয়া সংখ্যার বেশি জমায়েত করা যাবে না।

সরাসরি উদ্যোক্তা না-হলেও কাঁথির এই কর্মসূচির অন্যতম মুখ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু। ৩০ এপ্রিলের এই কর্মসূচিতে আপত্তি ছিল রাজ্যের। জানানো হয়, অন্য দিন এই কর্মসূচি করা যেতে পারে। কারণ হিসাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল, ওই দিনই দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হবে। পূর্বনির্ধারিত এই কর্মসূচির জন্য তারিখ পরিবর্তনের প্রস্তাব দেয় রাজ্য। তবে মামলাকারী পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য, দিঘা থেকে কাঁথি অনেকটাই দূরে। সে ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করা যেতেই পারে।

এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের আয়োজনে কাঁথির ওই সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার কথা শুভেন্দুর। কিন্তু ওই কর্মসূচির জন্য পুলিশি অনুমতি মিলছে না বলে অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। গত সপ্তাহে মামলার শুনানিতে এই বিষয়ে রাজ্যকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বলেছিলেন বিচারপতি ঘোষ। সোমবারের শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, ওই দিন মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি রয়েছে। সেটি একটি বড় অনুষ্ঠান। বিভিন্ন ‘ভিভিআইপি’ অতিথি আসবেন। সেখানে নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রচুর পুলিশকর্মী প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে একই দিনে কাঁথিতে সভা করার অনুমতি দেওয়া যাবে না।

তবে রাজ্যের আপত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য। দিঘা থেকে কাঁথির দূরত্বের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন তিনি। তাঁর বক্তব্য ছিল, একই জেলায় হলেও দিঘা থেকে কাঁথির দূরত্ব অনেকটাই। দিঘায় কোনও কর্মসূচি হলে জেলার অন্য জায়গায় বাকিরা কেন কোনও কর্মসূচি করতে পারবেন না, তা নিয়েও আদালতে প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীদের আইনজীবী। সোমবার দীর্ঘ ক্ষণ সওয়াল-জবাবের পর নির্দেশ স্থগিত রাখেন বিচরপতি ঘোষ। মঙ্গলবার সেই ‘সনাতনী হিন্দু সম্মেলন’ করার অনুমতি দিলেন তিনি।

Advertisement
আরও পড়ুন