(বাঁ দিকে) ফিরহাদ হাকিম, মীনা দেবী পুরোহিত (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুরসভা এলাকায় সাধারণ মানুষের রাজ্য সরকারের রূপশ্রী প্রকল্পের পাশাপাশি প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বার্ধক্য ভাতা পেতে অসুবিধা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম এর কাছে এই অভিযোগ করলেন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর মীনা দেবী পুরোহিত। প্রশ্নোত্তর পর্বের একেবারে শুরুতেই মীনা দেবী বলেন, ‘‘গরিব পাত্রীপক্ষ সঠিক সময় রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করার মতো বিষয়টি জানে না। ফলে তারা বড় অফিসে বারবার ঘুরে ও অবজ্ঞা লাঞ্ছনা ও হয়রানির শিকার হচ্ছে। রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পাচ্ছে না। এর কোনও প্রতিকার কি মেয়রের কাছে রয়েছে? পাশাপাশি বার্ধক্য ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রেও প্রবীণ নাগরিকদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিজেপি কাউন্সিলরের প্রশ্ন, বার্ধক্য ভাতা পেতে বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের ‘ফুল ফিটনেস চেকআপ’ করানোর মতো নতুন বিষয় কি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে? তাঁর আরও জিজ্ঞাসা, কোন বৃদ্ধ নাগরিক যদি নিজে না যেতে পারেন তাহলে কি এই পরিষেবা পাওয়া সম্ভব? দু’টি প্রশ্নের জবাবে মীনা দেবীর ওয়ার্ডের দু’টি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন মেয়র। দু’টি ক্ষেত্রে সহজেই বাড়ির মেয়ের বিয়ের জন্য রূপশ্রী প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকা পেয়ে গিয়েছে পরিবার। এর পর বিজেপি কাউন্সিলর বলেন এই বিষয়ে মেয়রের হস্তক্ষেপ জরুরি। কারণ বেশ কিছু ক্ষেত্রে গরিব মানুষকে হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে।
জবাবে মেয়র বলেন, ‘‘রূপশ্রী প্রকল্পে পাত্রীর পরিচয়পত্রের প্রতিলিপি ও বিয়ের কার্ড জমা দিলেই রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পাওয়া যায়। বার্ধক্য ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন রকম শারীরিক পরীক্ষা করে তার সার্টিফিকেট জমা দিতে হয় না।’’ পাল্টা মীনা দেবী জানান, সম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা তার গোচরে এসেছে যেখানে পুরসভার আধিকারিক রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদনকারী ও বার্ধক্য ভাতা প্রাপকদের উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে আবেদন করতে বলেন। জবাবে মেয়র বলেন, ‘‘আপনি যখন বিষয়টি বলছেন, তখন অবশ্যই আমি দেখব। কিন্তু আমি বলতে পারি কোনও আধিকারিক ওই ব্যক্তিদের বিভ্রান্ত করেছেন। এ ক্ষেত্রে আপনি যে বিষয়গুলির কথা বলছেন তা অবশ্যই দেখা হবে।’’