Kasba Gangrape

কলেজে ধর্ষণের তদন্ত করুক কেন্দ্রীয় সংস্থা! নড্ডাকে রিপোর্ট দিয়ে বলল বিজেপির তথ্যানুসন্ধানী দল, আঙুল তৃণমূল বিধায়কের দিকেও

তথ্যানুসন্ধানী দলের অভিযোগ, নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে তাদের বাধা দিয়েছে পুলিশ। ‘তড়িঘড়ি’ কলেজের রক্ষীকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপির দল।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫ ২২:৩৬
জেপি নড্ডা।

জেপি নড্ডা। — ফাইল চিত্র।

কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় তথ্যানুসন্ধানী দল গঠন করেছিল বিজেপি। চার জনের সেই দল এ বার রিপোর্ট দিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাকে। রিপোর্টে তারা জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত করানো হোক। পাশাপাশি, তৃণমূল বিধায়কের দিকেও আঙুল তোলা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

Advertisement

আইন কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় কলেজের এক প্রাক্তন ছাত্র, দুই বর্তমান ছাত্র এবং রক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তথ্যানুসন্ধানী দল গড়ে দিয়েছিলেন নড্ডা। সেই দলে ছিলেন দুই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যপাল সিংহ এবং মীনাক্ষী লেখী, বিজেপির লোকসভার সাংসদ বিপ্লবকুমার দেব এবং রাজ্যসভার সাংসদ মননকুমার মিশ্র। গত ৩০ জুন কলকাতায় এসেছিল দলটি। তাদের অভিযোগ, নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে তাদের বাধা দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের এফআইআরে অভিযুক্তদের নাম লেখা হয়নি। পরিবর্তে আদ্যক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে। সেই নিয়েও রিপোর্টে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপির তথ্যানুসন্ধানী দল। ‘তড়িঘড়ি’ কলেজের রক্ষীকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপির দল। তাদের দাবি, ওই রক্ষীকে যাতে ভয় দেখানো যায় এবং ‘সত্য’ যাতে প্রকাশিত না হয়, তাই ওই গ্রেফতারি। তাদের আরও দাবি, কলেজের পরিচালন সমিতিও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিধায়ক অশোক দেব মূল অভিযুক্তের ‘ইতিহাস’ জানার পরেও তাঁকে কলেজের একটি অস্থায়ী পদে নিয়োগ করেন। প্রসঙ্গত, মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অতীতেও হেনস্থা-সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে।

বাংলায় বিজেপির নিজস্ব তথ্যানুসন্ধানী দল পাঠানোর ঘটনা নতুন কিছু নয়। অতীতেও ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ঘটনায় বিজেপি দিল্লি থেকে নিজস্ব অনুসন্ধান দল পাঠিয়েছে এই রাজ্যে। এ বার কসবার ঘটনাতেও পাঠানো হয় তথ্যানুসন্ধানী দল। এ বার তারাই রিপোর্ট দিল।

Advertisement
আরও পড়ুন