Indian citizenship to wife of Bitan Adhikari

পহেলগাঁওয়ে নিহত বিতান অধিকারীর স্ত্রীকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দিল কেন্দ্র, ঘোষণা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্তের

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় হত ২৬ জনের মধ্যে ছিলেন কলকাতার পাটুলির বাসিন্দা বিতান। তাঁর স্ত্রী সোহিনী বাংলাদেশের নাগরিক বলে অভিযোগ এনেছিলেন প্রয়াত বিতানের দাদা বিভু অধিকারী।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২৫ ২০:১৪
Centre grants Indian citizenship to wife of Bitan Adhikari, who was killed in Pahalgam terror attack

(বাঁ দিকে) পহে‌লগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিহত বিতান অধিকারী এবং তাঁর স্ত্রী সোহিনী রায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

পহেলগাওয়ে জঙ্গিহানায় নিহত বিতান অধিকারীর স্ত্রী সোহিনী রায়কে ভারতের নাগরিকত্ব দিল কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার এ কথা জানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে ছিলেন কলকাতার পাটুলির বাসিন্দা বিতান। কর্মসূত্রে স্ত্রী এবং সন্তানকে নিয়ে থাকতেন আমেরিকায়। তাঁর স্ত্রী সোহিনী বাংলাদেশের নাগরিক বলে অভিযোগ করেছিলেন প্রয়াত বিতানের দাদা বিভু অধিকারী।

Advertisement

সুকান্ত শনিবার বলেন, ‘‘বিতানবাবু, যাঁকে পহেলগাঁওয়ে মারা হয়েছিল, তাঁর স্ত্রী সোহিনী রায়কে ভারত সরকার নাগরিকত্ব দিয়েছে। বহু আগেই বিবাহসূত্রে তিনি নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদনকে ভারত সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারত সরকারকে আমি ধন্যবাদ জানাই।’’ আলাদা ভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুকান্ত।

কাশ্মীর থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে সোহিনীরা নামার পরে রাজ্য সরকারের তরফে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং অরূপ বিশ্বাস হাজির ছিলেন। তেমনই সেখানে উপস্থিত হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুকে সোহিনী জানান, হিন্দু বলে তাঁর স্বামীকে গুলি করে মেরেছে জঙ্গিরা। এবং তিনি শুভেন্দুর ভরসায় কলকাতায় এসেছেন। এর পর বিতানের দাদা বিভু অভিযোগ করেন, সোহিনী এখনও বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁর আরও অভিযোগ, বছর দুয়েক আগে সোহিনী এবং তাঁর মা ভারতী রায়ের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলা এখনও চলছে। ভারতী বাংলাদেশ চলে গিয়েছেন। তবে এ দেশে থেকে যান তাঁর মেয়ে।

বিভু আরও দাবি করেছিলেন, পরিচয় গোপন করে তাঁর ভাই, পেশায় আইটি কর্মী বিতানকে বিয়ে করেছিলেন সোহিনী। বিভু বলেছিলেন, ‘‘সোহিনীর দুটো জন্ম-শংসাপত্র রয়েছে। উনি আদতে বাংলাদেশের নাগরিক। পরে ওঁরা এ দেশের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড ইত্যাদি বানিয়েছিলেন। পরে প্রমাণ হয়েছে, সেগুলো ভুয়ো।’’ দাবি করেছিলেন, ‘‘উনি (সোহিনী) আগে বিতানের সঙ্গে আমেরিকায় ছিলেন। কিন্তু ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এ দেশে আছেন। কারণ, ফেব্রুয়ারি মাসে সোহিনীর ভারতীয় পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে।’’

বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার কারণেই জঙ্গিহানায় ভাইয়ের মৃত্যুতে সরকার আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিলে সেটা স্ত্রী হিসাবে সোহিনীর পাওয়ার আইনি অধিকার নেই, এ-ও দাবি করেছিলেন দাদা বিভু। অভিযোগ প্রসঙ্গে অবশ্য সেই সময় কোনও জবাব দেননি সোহিনী। বরং তাঁর পরিবারের লোকজন বলেছিলেন, ‘‘সোহিনী এখন জবাব দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই।’’ অবশেষে নাগরিকত্ব পেলেন সোহিনী।

Advertisement
আরও পড়ুন