Domicile Certificate in KMC

এসআইআর ঘিরে কলকাতা পুরসভায় নিবাসী শংসাপত্রের চাহিদা তুঙ্গে, কাউন্সিলরদের বিশেষ নির্দেশ মেয়রের দফতরের

কলকাতা পুরসভা সূত্রের দাবি, প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৮০টি করে নিবাসী শংসাপত্র পেতে আবেদন জমা পড়ছে। এসআইআর চলাকালীন এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছে পুর প্রশাসন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:২৫
Demand for domicile certificate in KMC regarding SIR, instructions to councilors from Mayor Firhad Hakim office

নিবাসী শংসাপত্র দিতে কাউন্সিলরদের বিশেষ নির্দেশ দিল মেয়র ফিরহাদ হাকিমের দফতর। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর) প্রক্রিয়ায় ডোমিসাইল বা নিবাসী শংসাপত্র গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় কলকাতা পুরসভায় আবেদনকারীর সংখ্যা বাড়ছে। পুরসভার সদর দফতরের পাশাপাশি বিভিন্ন বরো অফিসেও এই শংসাপত্রের জন্য নাগরিকদের ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সঠিক দিশা দেখাতে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের দফতরের তরফে কলকাতার সমস্ত কাউন্সিলরের কাছে একটি বিস্তারিত নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

ওই বার্তায় বলা হয়েছে, কোনও ওয়ার্ডের বাসিন্দা নিবাসী শংসাপত্র পেতে চাইলে কোথায় আবেদন করতে হবে এবং কোন কোন নথিপত্র দেখাতে হবে—সে বিষয়ে কাউন্সিলরদের স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। যাতে নাগরিকেরা কাউন্সিলরদের কাছে এলে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা যায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতেই এই নির্দেশ। কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নিবাসী শংসাপত্র পেতে আবেদনের ক্ষেত্রে আধার কার্ড দেখে নিতে হবে। পাশাপাশি আবেদনকারী যদি ভাড়াবাড়িতে বসবাস করেন, তবে সংশ্লিষ্ট ভাড়ার রশিদও দেখাতে হবে। প্রয়োজনে অন্যান্য সহায়ক নথিপত্র যাচাই করা হতে পারে বলেও নির্দেশে বলা হয়েছে।

যদিও এসআইআর-এর কারণে নিবাসী শংসাপত্র পেতে আবেদনে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি হয়েছে—এই দাবি মানতে নারাজ কলকাতা কালেক্টরেট কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বক্তব্য, কলকাতা পুরসভার কেন্দ্রীয় ভবনে নিয়মিত ভাবেই এই শংসাপত্রের আবেদন নেওয়া হচ্ছে, তবে তা খুব বড় আকারে নয়। পুরসভা থেকে প্রাপ্ত আবেদনগুলি নিয়ম মেনে কলকাতা কালেক্টরেটের দফতরে পাঠানো হচ্ছে। তবে কলকাতা পুরসভা সূত্রের দাবি, প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৮০টি করে নিবাসী শংসাপত্র পেতে আবেদন জমা পড়ছে। এসআইআর চলাকালীন এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছে পুর প্রশাসন।

Advertisement
আরও পড়ুন