—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
প্রসবযন্ত্রণায় কাতর অন্তঃসত্ত্বাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ উঠল। ভর্তি না নিয়ে ওই মহিলাকে অন্য হাসপাতালে রেফার করার অভিযোগও প্রকাশ্যে এসেছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অসহযোগিতায় শৌচালয়েই সন্তানের জন্ম দিলেন ওই মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বেনিয়াগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
ওই মহিলার বাবার অভিযোগ, সঙ্কটজনক অবস্থায় তিনি তাঁর মেয়েকে নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসেছিলেন। তখন প্রসবযন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু ওই পরিস্থিতিতেও তাঁকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়নি। উল্টে অন্য হাসপাতালে রেফার করে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ব্যথার কারণে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের শৌচালয়ে যান মহিলা। সেখানে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। সূত্রের খবর, মা এবং সন্তান দু’জনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
প্রসূতি তানজীমা খাতুনের বাবা আলম বলেন, ‘‘আমরা ঝাড়খণ্ড থেকে গাড়িতে করে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসেছিলাম। বললাম, রোগীর অবস্থা গুরুতর। তখন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাঁরা ছিলেন তাঁরা কাগজ দেখে বললেন, এখানে ভর্তি হবে না। বল্লালুর হাসপাতালে ভর্তি হবে।’’ এমনকি কোন কোন এলাকার রোগীকে ভর্তি নেওয়া হবে যাবে না, তার তালিকাও নাকি দেখানো হয়। আলমের কথায়, ‘‘ভর্তি না নিলেও আমার মেয়েকে ভিতরে নিয়ে যায়। পরে জানতে পারি শৌচালয়ে শিশুর জন্ম হয়েছে। সেখানে হাসপাতালের কোনও কর্মী ছিলেন না।’’
ওই তালিকার কথা উল্লেখ করে আলমের অভিযোগ, বল্লারপুর, জাফরগঞ্জ, আমতলা, রামরামপুর সহ একাধিক এলাকার সাব সেন্টার থেকে আসা রোগীদের বল্লালুর হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। যদিও ফরাক্কা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক মসিউর রহমান শৌচালয়ে প্রসবের ঘটনা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘সন্তান প্রসব শৌচালয়ে হয়নি। প্রসবের বেডেই হয়েছে।’’ তবে অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।