Shantipur Police Case

বস্তাভর্তি আধার কার্ড, ব্যাঙ্কের নথি পোড়ানোর অভিযোগ! এসআইআর আবহে ‘রহস্য’ শান্তিপুরে

নদিয়ার শান্তিপুর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় একটি জায়গায় প্রচুর কাগজপত্র পোড়ানো হচ্ছিল। স্থানীয়দের দাবি, আধার এবং ভোটার কার্ড এমনকি, পোস্ট অফিসের নথিপত্রে আগুন ধরানো হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:৪২
শান্তিপুরে নথি পোড়ানোর অভিযোগ ঘিরে শোরগোল এলাকায়।

শান্তিপুরে নথি পোড়ানোর অভিযোগ ঘিরে শোরগোল এলাকায়। —নিজস্ব ছবি।

রাজ্যজুড়ে চলছে এসআইআরের পঞ্চম দিনের শুনানি পর্ব। এই আবহে চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার শান্তিপুরে। বুধবার সেখানে বস্তাভর্তি আধার কার্ড, ব্যাঙ্কের নথি পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, নদিয়ার শান্তিপুর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় একটি জায়গায় প্রচুর কাগজপত্র পোড়ানো হচ্ছিল। স্থানীয়দের দাবি, আধার এবং ভোটার কার্ড এমনকি, পোস্ট অফিসের নথিপত্রে আগুন ধরানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। কেন এবং কারা ওই কাজ করছিলেন, খতিয়ে দেখছে তারা। ইতিমধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে শান্তিপুর পুরসভাও।

স্থানীয়দের দাবি, বুধবার সকালে পরিত্যক্ত একটি জায়গায় বস্তাভর্তি একাধিক কাগজ পোড়াতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে। সন্দেহ হতে এগিয়ে যান তাঁরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, আধার কার্ড, পোস্ট অফিসের নথিপত্র এবং ব্যাঙ্কের নথি পোড়ানো হচ্ছে। কিন্তু সেগুলো কাদের এবং কেন পোড়ানো হচ্ছে, এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ওই ব্যক্তি কোনও জবাব দেননি বলে অভিযোগ। কারও কারও দাবি, ওই ব্যক্তির পুত্র আগে শান্তিপুর পোস্টঅফিসে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু তাঁর কাছে কী ভাবে বস্তাভর্তি আধার কার্ড, ব্যাঙ্কের নথি এল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রহস্যের কিনারার চেষ্টায় পুলিশ। শান্তিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ জানিয়েছেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশও তদন্ত শুরু করেছে। আসল তথ্য সামনে আসবে।

Advertisement
আরও পড়ুন