পশ্চিমবঙ্গ বাসিন্দাদের আটক করেছিল উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
বাংলাদেশি সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের আটক করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সম্প্রতি তাঁদের পাকড়াও করা হয় বারাণসী জেলায়। অবশেষে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হস্তক্ষেপে ছাড়া পেলেন রাজ্যের ১৩ বাসিন্দা। বুধবার সন্ধ্যায় তাঁদের ছেড়ে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ১৩ জনের মধ্যে ১২ জনই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। এক জনের বাড়ি নদিয়ায়। কয়েক মাস আগে কাজের সন্ধানে পরিযায়ী শ্রমিকদের এই দলটি উত্তরপ্রদেশে গিয়েছিল। থাকছিল বারাণসী জেলায়। অভিযোগ, সেখানে থাকাকালীনই বাংলাদেশি সন্দেহে বারাণসীর চোলাপুর থানার পুলিশ তাঁদের আটক করে। পরিবারের কাছ থেকে সেই খবর পায় মুর্শিদাবাদ পুলিশ। উত্তরপ্রদেশে আটক হওয়া ওই ব্যক্তিদের দ্রুত নাগরিকত্ব যাচাইয়ের অনুসন্ধান শুরু করে পুলিশ।
একই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের বারাণসী পুলিশ কমিশনারেটের সঙ্গেও ধারাবাহিক সমন্বয় বজায় রাখতে থাকে মুর্শিদাবাদ পুলিশ। ওই শ্রমিকেরা যে আসলে ভারতেরই নাগরিক এবং এ রাজ্যের বাসিন্দা, তা উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে বোঝায় এ রাজ্যের পুলিশ। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার এই ক্রমাগত যোগাযোগ এবং সমন্বয়ে অবশেষে ছা়ড়া পেলেন রাজ্যের ওই ১৩ বাসিন্দা। বুধবার সন্ধ্যায় তাঁদের ছেড়ে দেয় উত্তরপ্রদেশের চোলাপুর থানা।
এ বিষয়ে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সানি রাজ বলেন, “মুর্শিদাবাদের কিছু শ্রমিকের আটকে পড়ার ঘটনা জানতে পেরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁদের পরিচয় ও বাসস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত করা হয়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ আমাদের সঙ্গে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে।”