Anuradhapura Air Base Attack

ড্রোন হামলায় এক-তৃতীয়াংশ রুশ বোমারু বিমান ধ্বংস! ১৮ বছর আগে এমন হাল হয়েছিল ভারতের এক পড়শি দেশেরও

বিস্ফোরকবাহী ১১৭টি কোয়াড কপ্টারের হামলায় অন্তত ৪০টি বোমারু ও নজরদারি বিমান ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সরকারের দাবি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২৫ ২০:১৫
Drone attack of Ukraine in Russia is like the  raid on 2007 Anuradhapura Air Force Base of Sri Lanka

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

যাবতীয় গোয়েন্দা ‘নেটওয়ার্ক’ এবং প্রতিরক্ষা নজরদারি ব্যবস্থার ‘চোখে’ ধুলো রুশ ভূখণ্ডের এত গভীরে ঢুকে রবিবার পাঁচ সামরিক বিমানঘাঁটিতে নিখুঁত ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। বিস্ফোরকবাহী ১১৭টি কোয়াড কপ্টারের হামলায় অন্তত ৪০টি বোমারু ও নজরদারি বিমান ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সরকারের দাবি।

Advertisement

যাবতীয় গোয়েন্দা ‘নেটওয়ার্ক’ এবং প্রতিরক্ষা নজরদারি ব্যবস্থার ‘চোখে’ ধুলো রুশ ভূখণ্ডের এত গভীরে ঢুকে রবিবার পাঁচ সামরিক বিমানঘাঁটিতে নিখুঁত ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। বিস্ফোরকবাহী ১১৭টি কোয়াড কপ্টারের হামলায় অন্তত ৪০টি বোমারু ও নজরদারি বিমান ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সরকারের দাবি।

রুশ বোমারু বিমানের অন্তত এক-তৃতীয়াংশই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলেও দাবি করেছে কিভ। নতুন প্রজন্মের যুদ্ধে ‘মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট’ অনেকাংশের বোমারু বিমানের জায়গা করে নিলেও আমেরিকা, রাশিয়ার মতো বড় দেশগুলি শত্রুভূমিতে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে ভারি বোমারু বিমান ব্যবহার করে। সেই তালিকার অন্যতম নাম রুশ টিইউ-৯৫এমএস, টিউ-২২এম৩-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ‘স্ট্র্যাটেজিক বম্বার’। যার অনেকগুলিই নাকি রবিবার মুরমানস্ক, ইরকুটস্ক, ইভানোভো, রিয়াজান এবং আমুর অঞ্চলের পাঁচ বিমানঘাঁটিতে হামলায় ধ্বংস হয়েছে। সেই সঙ্গে নষ্ট হয়ে গিয়েছে কয়েকটি এ-৫০ সামরিক নজরদারি বিমানও।

রুশ বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের এই হামলা মনে করিয়ে দিয়েছে ২০০৭ সালের ২২ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার অনুরাধাপুরা বিমানঘাঁটিতে জঙ্গি সংগঠন এলটিটিই-র হামলার কথা। তামিল টাইগারদের আত্মঘাতী বাহিনীর ঝটিকা হামলায় এক রাতে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বিমানবহর খুইয়েছিল ভারতের প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্র। সেই তালিকায় ছিল, যুদ্ধবিমান, অ্যাডভান্সড জেট ট্রেনার এবং হেলিকপ্টার। মোট পাঁচটি বিমান এবং চারটি হেলিকপ্টার পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছিল। গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আরও ১০টি সামরিক আকাশযান। এই হামলার পরিণতিতে এলটিটিই প্রধান ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করেছিল লঙ্কাফৌজ। অনুরাধাপুরা-কাণ্ডের দেড় বছরের মাথায় প্রভাকরণ-সহ প্রায় সব এলটিটিই নেতাদের মৃত্যু এবং মুল্লাইতিভুর টাইগার্স-ঘাঁটির পতন ইতি টেনেছিল শ্রীলঙ্কার তিন দশকের রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের।

Advertisement
আরও পড়ুন