Bangladesh General Election

নির্বাচন বাতিলের দাবিতে এ বার রাজপথে হাসিনার আওয়ামী লীগ! ঢাকাগামী সড়ক আটকে মশাল মিছিল

বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছিল, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এক সঙ্গে জাতীয় সংসদের নির্বাচন এবং জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট হবে। ‘নিষিদ্ধ’ আওয়ামী লীগ তাতে অংশ নিতে পারবে না বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:২০
Former Prime Minister Sheikh Hasina led Bangladesh Awami League holds torchlight procession, demands repeal of election

আওয়ামী লীগের মশাল মিছিল। ছবি: সংগৃহীত।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এবং তাদের নিযুক্ত নির্বাচন কমিশনকে ‘অবৈধ’ বলেছিল ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ বার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল জাতীয় সংসদের নির্বাচন এবং জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট বাতিলের দাবিতে ঝটিকা মশাল মিছিল করল রাজধানী ঢাকার অদূরে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসিরউদ্দিন ঘোষণা করেছিলেন, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এক সঙ্গে জাতীয় সংসদের নির্বাচন এবং জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট হবে। ‘নিষিদ্ধ’ আওয়ামী লীগ তাতে অংশ নিতে পারবে না বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছিল। তার পরেই ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনার দল একটি বিবৃতিতে নির্বাচনী তফসিল (নির্ঘন্ট) ‘প্রত্যাখ্যান’ করার কথা ঘোষণা করে। এর পরে রাতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবি জানিয়ে শরীয়তপুর জেলায় মশাল মিছিল করে আওয়ামী লীগ। সে দেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানাচ্ছে, ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কের জাজিরা উপজেলার মিরাশা এলাকায় মিছিলটি হয়। মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন ২০০-র বেশি আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থক! এই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ, উদ্ধার করা হয়েছে ৬৪টি মশাল।

ইউনূস সরকারের জমানায় নিষিদ্ধ ঘোষিত দল বৃহস্পতিবার লিখিত বিবৃতিতে ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে বলেছে, ‘‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গভীর ভাবে অবৈধ দখলদার খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গ্যাংয়ের অবৈধ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসিল পর্যবেক্ষণ করেছে। এটা সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত যে, বর্তমান দখলদার বাহিনী শতভাগ পক্ষপাতদুষ্ট এবং তাদের অধীনে সুষ্ঠু-স্বাভাবিক পরিবেশে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে জনগণের মতামতের প্রতিফলন অসম্ভব।’’ প্রসঙ্গত, শুক্রবার থেকেই মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। চলবে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ৩০ ডিসেম্বর-৪ জানুয়ারি চলবে মনোনয়ন পরীক্ষার কাজ। কোনও মনোনয়ন বাতিল হলে সেই সিদ্ধান্তে বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ১২-১৮ জানুয়ারি হবে সেই আপিলগুলির যথার্থতা যাচাইয়ের কাজ। চূড়ান্ত প্রার্থিতালিকা প্রকাশ এবং নির্বাচনী প্রতীক নির্ধারণ হবে ২১ জানুয়ারি। আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারের পালা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।

Advertisement
আরও পড়ুন