Nepal Violence

নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের দৌড়ে উঠে এল আর এক নাম! সুশীলা নন, এ বার কাকে চান আন্দোলনকারীরা?

প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি নন, এ বার নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাব্য প্রধান হিসাবে উঠে এল আর এক নাম! শোনা যাচ্ছে, প্রাক্তন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের হাল ধরুন, এমনটাই চাইছেন গণবিক্ষোভে নেপালের কেপি শর্মা ওলি সরকারকে গদিচ্যুত করা আন্দোলনকারীরা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:৫৬
নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাব্য প্রধান হিসাবে উঠে এল কুল মান ঘিসিংয়ের নাম।

নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাব্য প্রধান হিসাবে উঠে এল কুল মান ঘিসিংয়ের নাম। —ফাইল চিত্র।

প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি নন, এ বার নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাব্য প্রধান হিসাবে উঠে এল আর এক নাম! কুল মান ঘিসিং। শোনা যাচ্ছে, প্রাক্তন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ঘিসিং নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের হাল ধরুন, এমনটাই চাইছেন গণবিক্ষোভে নেপালের কেপি শর্মা ওলি সরকারকে গদিচ্যুত করা আন্দোলনকারীরা।

Advertisement

এই মুহূর্তে অশান্ত নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধান হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ঘিসিং। নেপালে বিদ্যুতের দীর্ঘমেয়াদি ঘাটতি দূর করার নেপথ্যে নানা অবদান রয়েছে তাঁর। ১৯৯৪ সালে ঘিসিং দেশের বিদ্যুৎ বোর্ডে যোগ দিয়েছিলেন। তার পর থেকে নেপালের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০১৬ সালে বিদ্যুৎ বোর্ডের সর্বেসর্বা হন। সে সময় চরম বিদ্যুৎবিভ্রাটে ভুগছিল ভারতের প্রতিবেশী দেশ। কখনও কখনও দিনে ১৮ ঘণ্টাও লোডশেডিং চলত। সেই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ বোর্ডের হাল ধরেন ঘিসিং। মেটান দেশের বিদ্যুৎসঙ্কট। এ বার সেই ঘিসিংকেই প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য বেছেছে ‘জেন-জ়ি’। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে তাঁর নাম জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। শুধু তা-ই নয়, তাঁকে ‘দেশপ্রেমিক’ এবং ‘সকলের প্রিয়’ বলেও উল্লেখ করেছেন তাঁরা।

নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে বুধবার রাত পর্যন্তও শোনা যাচ্ছিল ৭৩ বছরের সুশীলা কার্কির নাম। গুরুত্বপূর্ণ এই পদের জন্য সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকে চাইছিলেন আন্দোলনকারীরা। বুধবার এ নিয়ে কাঠমান্ডুতে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের বৈঠক হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তরুণ ‘জেন-জ়ি’রা অনলাইনে আলোচনাসভায় যোগ দেন। কয়েক ঘণ্টা আলোচনার পর পাঁচ হাজারেরও বেশি আন্দোলনকারী শেষমেশ বেছে নেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সুশীলাকে। এ-ও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, খুব শীঘ্রই নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে সুশীলার নাম ঘোষণা করতে চলেছে সে দেশের সেনা। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সূত্রে খবর মিলেছে, আন্দোলনকারীদের একাংশ মনে করছেন, বয়সজনিত কারণে সুশীলা এই পদের জন্য উপযুক্ত নন। তা ছাড়া, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় নানা সাংবিধানিক বাধাও রয়েছে। এ সব ভেবেই ভাবা হচ্ছে ঘিসিংয়ের নাম।

Advertisement
আরও পড়ুন