Snake Antivenom

২০ বছর ধরে সাপের বিষ শরীরে ঢুকিয়েছেন, তাঁর রক্তই এখন বিষাক্ত ছোবলের ‘সেরা’ প্রতিষেধক!

ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ২০ বছর ধরে নিজের শরীরে সাপের বিষ ঢুকিয়েছেন। আমেরিকার সেই ব্যক্তির রক্তই এখন সর্পবিষের ‘সেরা’ প্রতিষেধক হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছেন কয়েক জন বিজ্ঞানী।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২৫ ২০:৩৫
বিষাক্ত ছোবলের ‘সেরা’ প্রতিষেধকের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা।

বিষাক্ত ছোবলের ‘সেরা’ প্রতিষেধকের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ২০ বছর ধরে নিজের শরীরে সাপের বিষ ঢুকিয়েছেন। আমেরিকার সেই ব্যক্তির রক্তই এখন সর্পবিষের ‘সেরা’ প্রতিষেধক হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছেন কয়েক জন বিজ্ঞানী।

Advertisement

বিশ্বে প্রতি বছর বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত সাপের কামড়ে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। এই পরিসংখ্যান ভাবিয়ে তুলেছিল আমেরিকার টিম ফ্রিডকে। বছর ২০ আগে তিনি স্থির করেন যে, বিভিন্ন সাপের বিষ ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে নিজের শরীরে প্রবেশ করাবেন। লক্ষ্য একটাই, বিশ্বে সমস্ত সাপে কাটা মানুষদের জন্য একটি উত্তম মাত্রার প্রতিষেধক তৈরি করা। সেই লক্ষ্যে তিনি সফল বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। কারণ বিভিন্ন বিষধর সাপের বিষ নিজের শরীরে নেওয়ার ফলে মার্কিন নাগরিক ফ্রিডের রক্তই ‘সেরা’ প্রতিষেধক হয়ে উঠেছে। সাপে কাটা রোগীদের বাঁচাতে কী ভাবে তাঁর রক্তের নমুনাকে প্রতিষেধক হিসাবে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে এখন আলোচনা শুরু হয়েছে।

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, গত দু’দশক ধরে ৭০০টি বিষাক্ত ইঞ্জেকশন নিয়েছেন ফ্রিড। বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত সাপের প্রায় ২০০টি কামড় খেয়েছেন। বিষাক্ত সাপের তালিকায় রয়েছে গোখরো, কেউটেও। ফ্রিড নিজেই জানিয়েছেন যে, সাপের বিষ শরীরে প্রবেশ করানোর আগে নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তাতে পুরোপুরি সফল হয়েছেন, এমনটাও নয়। কারণ গোখরো সাপের কামড়ে দু’বার কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন ফ্রিড।

বিভিন্ন ধরনের সাপের বিষের ধরন বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। এই কারণে বিশ্বের সর্বত্রই একই ধরনের প্রতিষেধক কার্যকরী হয় না। ফ্রিডের রক্ত বিভিন্ন ধরনের সাপের বিষ থেকে মানুষজনকে রক্ষা করতে পারবে বলে আশবাদী বিজ্ঞানীরা।

Advertisement
আরও পড়ুন