Russia-Ukraine War

রাশিয়া হামলা না থামালে ড্রোন হামলা চলবে! শান্তি-বৈঠকের পর হুঁশিয়ারি জ়েলেনস্কির! রুশ হামলায় ইউক্রেনে হত পাঁচ জন

আমেরিকার মধ্যস্থতায় সোমবার তুরস্কে আলোচনায় বসেছিল রাশিয়া এবং ইউক্রেন। বৈঠকে বন্দি এবং মৃত সেনাদের দেহ বিনিময় নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছোলেও যুদ্ধবিরতি নিয়ে স্থির কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি দু’পক্ষ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫ ১০:০৭
(বাঁ দিকে) ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভলোদিমির জ়েলেনস্কি (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভলোদিমির জ়েলেনস্কি (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

রাশিয়ার ভিতরে ড্রোন পাঠিয়ে সে দেশের পাঁচটি বিমানঘাঁটিতে দাঁড়িয়ে থাকা ৪১টি বোমারু বিমানকে ধ্বংস করেছে ইউক্রেন। অতর্কিতে ইউক্রেনের এই হামলা সাড়ে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধের অভিমুখ বদলে দেবে কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। এই আবহে সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি হুঁশিয়ারির সুরে জানান, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা না-থামালে তাঁরাও ড্রোন হামলা অব্যাহত রাখবেন।

Advertisement

আমেরিকার মধ্যস্থতায় সোমবার তুরস্কে আলোচনায় বসেছিল রাশিয়া এব‌ং ইউক্রেন। বৈঠকে বন্দি এবং মৃত সেনাদের দেহ বিনিময় নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছোলেও যুদ্ধবিরতি নিয়ে স্থির কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি দু’পক্ষ। সংঘর্ষ থামাতে বৈঠকের আগেই বেশ কিছু শর্ত পেশ করেছিল ইউক্রেন। রাশিয়া অবশ্য বৈঠকের সময় তাদের শর্তগুলি পেশ করে। ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা জানান, তারা সেই শর্তগুলি খতিয়ে দেখে এক সপ্তাহ পর সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন।

দুই দেশের প্রতিনিধি স্তরে বৈঠকের পর রাশিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা মস্কোর তরফে পেশ করা শর্তগুলি ফাঁস করে দেয়। সেগুলির মধ্যে ছিল রুশ সেনা ইউক্রেনের যে এলাকাগুলি দখল করেছে, সেগুলি মস্কোর হাতে তুলে দেওয়া, ইউক্রেনের সরকারি ভাষা হিসাবে রুশ ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া। স্বাভাবিক ভাবেই, ইউক্রেন এই দাবিগুলি খারিজ করে দিয়েছে।

অন্য দিকে, শান্তি-আলোচনার মধ্যেই পূর্ব ইউরোপে আকাশপথে হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। রুশ সীমান্তবর্তী ক্রামাটরস্কে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত দু’জন। ইলিনিভিকায় মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলে মৃত্যু হয়েছে দুই মহিলার। ইউক্রেনের দাবি, প্রতি দিন ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এই হামলা বন্ধ না-হলে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে কিভ। এই বিষয়ে আমেরিকার হস্তক্ষেপও চেয়েছেন জ়েলেনস্কি। তিনি বলেন, “আমরা আমেরিকার কঠোর পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছি। আমার মনে হয় (ডোনাল্ড) ট্রাম্প (রাশিয়ার উপর) বিধিনিষেধ আরোপ করাকে সমর্থন করবেন এবং যুদ্ধ থামাতে পুতিনকে বাধ্য করবেন।”

Advertisement
আরও পড়ুন