UN Peacekeeping Force

অনুদানে ট্রাম্পের কোপ, অর্থাভাবে জর্জরিত রাষ্ট্রপুঞ্জ ২৫ শতাংশেরও বেশি শান্তিরক্ষী ছাঁটাইয়ের পথে

গত অগস্টে ট্রাম্প মার্কিন কংগ্রেসে পাঠানো এক বার্তায় ২০২৪ এবং ২০২৫ সালের জন্য বরাদ্দ করা প্রায় ৮০ কোটি ডলারের (প্রায় ৭১০২ কোটি টাকা) শান্তিরক্ষা তহবিল একতরফা ভাবে বাতিল করার কথা জানিয়েছিলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:৫৫
UN to slash 25% of peacekeepers globally over lack of funds

ডোনাল্ড ট্রাম্প। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

অর্থসঙ্কটের কারণে রাষ্ট্রপুঞ্জ বিশ্ব জুড়ে ন’টি শান্তিরক্ষা অভিযানে প্রায় এক-চতুর্থাংশের বেশি (২৫ শতাংশের বেশি) সেনা ও পুলিশ সদস্য কমাতে যাচ্ছে। চলতি অর্থবর্যে ২০ শতাংশ বাজেট কমাতে চলেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের সচিবালয়। সংস্থার কর্মীদের পরে এ বার তার প্রত্যক্ষ নেতিবাচক প্রভাব পড়তে চলেছে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনীর উপর।

Advertisement

রাষ্ট্রপুঞ্জের এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘‘ন’টি দেশে কর্মরত ২৫ শতাংশ শান্তিরক্ষীকে অর্থাভাবের কারণে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।’’ মোট ১৩-১৪ হাজার সেনা ও পুলিশকর্মীকে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার রাষ্ট্রপুঞ্জকে দেওয়া আর্থিক অনুদানের পরিমাণ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সম্প্রতি ব্যয়সঙ্কোচের পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। গত মে মাসে ৬৯০০ জন কর্মী ও আধিকারিককে চাকরি থেকে ছাঁটাই হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। যদিও মে মাসে জারি করা ওই নির্দেশিকার আমেরিকার অনুদান কমানোকে ‘কর্মী ছাঁটাইয়ের কারণ’ বলে চিহ্নিত করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা মিশনের সবচেয়ে বড় আর্থিক মদতদাতা আমেরিকা। এ ক্ষেত্রে মোট বাজেটের ২৬ শতাংশ ওয়াশিংটন বহন করে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চিন। চলতি অর্থবর্ষ শুরু হওয়ার আগেই আমেরিকার কাছে শান্তিরক্ষা মিশন বাবদ ১৫০ কোটি ডলার (প্রায় ১৩৩১৭ কোটি টাকা) বকেয়া ছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের। এখন আরও ১৩০ কোটি ডলার (প্রায় ১১৫৪২ কোটি টাকা) যোগ হওয়ায় মোট বকেয়া দাঁড়িয়েছে ২৮০ কোটি ডলারেরও (প্রায় ২৪৮৫৯ কোটি টাকা) বেশি। গত অগস্টে ট্রাম্প মার্কিন কংগ্রেসে পাঠানো এক বার্তায় ২০২৪ এবং ২০২৫ সালের জন্য বরাদ্দ করা প্রায় ৮০ কোটি ডলারের (প্রায় ৭১০২ কোটি টাকা) শান্তিরক্ষা তহবিল একতরফা ভাবে বাতিল করার কথা জানিয়েছিলেন। হোয়াইট হাউসের বাজেট অফিস সম্প্রতি ২০২৬ সালের রাষ্ট্রপুঞ্জ শান্তিরক্ষা মিশনে অর্থসাহায্য সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করার প্রস্তাবও দিয়েছে! তাদের যুক্তি, মালি, লেবানন ও গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে (ডিআর কঙ্গো) শান্তিরক্ষা মিশন সফল হয়নি।

Advertisement
আরও পড়ুন