E- cycle advantages

অফিস যাতায়াতের ঝক্কি রোজ! হাজারটা ঝামেলা এড়াতে পুজোয় কিনুন ই-সাইকেল

অফিস যাওয়ায় আর বাসে-ট্রামে-ট্রেনে যাওয়ার ঝক্কি নয়। মুক্ত মনে চড়ে বসুন নিজের ই-সাইকেলে। দামে কম, মাইলেজ ভাল। খবর এই প্রতিবেদনে।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২৩ ২০:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি

অফিস টাইমে এখন রাস্তায় বেরলেই একটি চেনা ছবি সবার চোখের সামনে ঝোলে। বাসে-ট্রামে, কী ট্রেন, বাদুড় ঝোলা অবস্থা। মেট্রোয় গাদাগাদি। অনেকটা সময় হাতে নিয়ে বেরিয়েও রেহাই নেই তেমন। যে পরিমাণে পাল্লা দিয়ে পেট্রোল ডিজেলের দাম বাড়ছে, নিজের গাড়ি বা বাইক নিয়ে প্রতিদিন অফিসে যেতে নাভিশ্বাস ওঠে। অ্যাপ-ক্যাব নেবেন। তাতেও নয়া রোগ, ‘বেশি লাগবে’ বা ‘ওদিকে যাব না’ ইত্যাদি ইত্যাদি।

Advertisement

সুখবর! সুখবর! সুখবর! বাজারে চলে এসেছে সস্তার ই-সাইকেল বা ইলেকট্রিক সাইকেল। এতে দামি তেল কেনার চাপ নেই। পরনির্ভরতা নেই। শুধু পক্ষীরাজে চেপে বসুন। আর তার পর হুশ! শুধু অফিসে যাতায়াত নয়, অন্যত্র এ ভাবে যেতেই পারেন। সম্প্রতি একটি ই-সাইকেল বাজারে এনেছে রাড পাওয়ার নামের একটি সংস্থা। এই ই-সাইকেলের বৈশিষ্ট্য কী?

সংস্থাটি আন্তর্জাতিক বাজারে মজবুত ইলেকট্রিক সাইকেলের জন্য বেশ ভালভাবেই পরিচিত। এর নতুন বাজারে আনা ই-সাইকেলের নাম হল ব়্যাডসিটি ৫। এর প্রথম ও প্রধান বৈশিষ্ট্য হল, এটির দৌড় ক্ষমতা পেট্রল চালিত বাইকের মাইলেজের থেকেও অনেকাংশেই বেশি। যে সমস্ত গ্রাহকেরা এই ই-সাইকেল কিনবেন তাঁরা দুটি ভ্যারিয়েন্টে এই ই-সাইকেলটি কিনতে পারবেন। প্রথমটি হল রাডসিটি প্লাস হাই-স্টেপ। এবং দ্বিতীয়টি হল রাডসিটি ৫ স্টেপ থ্রি। এই সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এই ই-সাইকেলটি বুক করা যাবে।

Advertisement

এই ই-সাইকেলে আর কী কী ব্যাপারস্যাপার রয়েছে? এতে দেওয়া হয়েছে ৬৭২ ডব্লুএইচআর ব্যাটারি প্যাক। সম্পূর্ণ চার্জ থাকলে এই সাইকেল দৌড়াতে পারে ৫০ থেকে ৮০ মাইল পর্যন্ত। এই ই-সাইলেকের সঙ্গে আবার মিলবে ৭৫০ ওয়াট-এর একটি মোটর। এখানেই শেষ নয়। এই ই-সাইকেলে থাকছে ৫ লেভেলের প্যাডেল অ্যাসিস্ট্যান্স সিস্টেম এবং একই সঙ্গে ১২ ম্যাগনেট সেন্সর। তবে এই ই-সাইকেলের আরও একটি বিশেষ ‘এডিশন’ রয়েছে। যার নাম টাইগার অরেঞ্জ থিম পেইন্ট। যা সাইকেলের সম্পূর্ণ চেহারাকে আরও বেশি মাত্রায় আকর্ষণীয় করে তুলেছে। রাডসিটি ই-সাইকেলের দাম ১৯৯৯ ডলার। অর্থাৎ ভারতে এর মূল্য ১,৬৫,১৭২ টাকা। বর্তমানে ই-সাইকেলের জন্য রয়েছে আরও অন্যান্য সংস্থা। যেমন টাটা স্ট্রাইডার, হিরো লেকট্রো, ই মোটোরড, মোটোভল্ট ইত্যাদি। এই সংস্থাগুলিতেও সাইকেলের দাম স্কুটার বা বাইকের থেকে অনেকাংশেই কম।

এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন