Automobile

৫০ বছর আগের ভিন্টেজ-অনুভূতি ফিরিয়ে দেবে নিশান জেড প্রোটো

আজকের নতুন নিশান জেড প্রোটো-র ভিতর-বাইরে সব কিছুই সেই ফেলে আসা দিনের মতো। অথচ একেবারে হালফিলের আধুনিকতায় মোড়া।

Advertisement

জয়দীপ সুর

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২০ ১৩:০১
Share:

‘পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়…।’ আজন্মের চেনা এই রবীন্দ্রসঙ্গীতেই ধরা আছে পুরনোকে নতুন করে পাওয়ার আশা। আমরা ঐতিহ্যকে নিয়ে গর্ব করে এগিয়ে যেতেই ভালোবাসি। অনেকেই ভাবি- পুরনো দিনের সব কিছু যদি আগের মতো পাওয়া যেত, সেই অনুভূতিকে আগের মতো উপভোগ করা যেত, কী ভালই না হত! ভাবছেন গাড়ির কথা বলতে গিয়ে এ আবার কী নিয়ে আলোচনা! তবুও নতুন গাড়ি নিশান জেড প্রোটো-র বিষয়ে বলতে গিয়ে কিন্তু মাথায় আসছে এই কথাগুলোই।

Advertisement

কারণ, এই ২০২০ সালে দাঁড়িয়ে এ বার নিশান গাড়ির মধ্যেই ফিরে পাওয়া যাবে ১৯৭০ সালের ঐতিহ্যকে। নিশান জেড এর ঐতিহ্য, সেই অনুভূতিকেই নিশান জেড প্রোটো গাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে এল নিশান। নিশান জেড-এর পরিচয় স্পোর্টস কার হিসেবে। এর চেহারা, গতি আর সৌন্দর্যের কারণে গাড়িপ্রেমীদের পছন্দে ঢুকে পড়েছিল এই গাড়ি।

আজকের নতুন নিশান জেড প্রোটো-র ভিতর-বাইরে সব কিছুই সেই ফেলে আসা দিনের মতো। অথচ একেবারে হালফিলের আধুনিকতায় মোড়া। যারা সেই সময়ে নিশান জেড কে ভালবেসে ফেলেছেন, তাঁরা এর সঙ্গে বন্ধুত্ব করেও মোটেই বঞ্চিত হবেন না। সেদিনের সেই ইঞ্জিনে যুক্ত হয়েছে আজকের প্রযুক্তি। আজকের নিশান জেড প্রোটো-তে আছে ভি-সিক্স টার্বো চার্জ ইঞ্জিন।

Advertisement

আরও পড়ুন: ভক্তদের কল্পনার বাস্তবরূপ নতুন স্প্লেন্ডার প্লাস ব্ল্যাক অ্যান্ড অ্যাক্সেন্ট এডিশন

নিশানের সিইও বুক ফুলিয়ে বলছেন- এই গাড়ি আমাদের টিমওয়ার্কের একটা গর্বের সৃষ্টি, যা পুরনো ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখবে আধুনিকতায় মুড়ে।

নিশান জেড প্রোটোর বাইরের রূপে মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না। বিশেষত তার রঙের খেলায় প্রেমে পড়বেন নিশ্চিত। গাড়ির ছাদটা একরাশ ঘন চুলে মাথা ঢেকে থাকা সৌন্দর্য। যা দেখে হিংসে হবেই বাকিদের। আসি হেড লাইটের কথায়। এতে আধুনিক এলইডি এমন ভাবে লাগানো হয়েছে, যার বিচ্ছুরণ ফিরিয়ে দেবে ৫০ বছর আগেকার স্মৃতি।

কার্বন ফাইবার ট্রিটমেন্টে গাড়ির শরীরের বাইরে দিকটা এত শক্তপোক্ত যে, কেউ ছুঁতে ভয় পাবেই। আর চারটি চাকা রাস্তাকে এমন ভাবে কামড়ে ধরে এগোবে, যেন মনে হবে এক অপরিসীম নিরাপত্তার চাদরে মোড়া আছেন সওয়ারী।

একটু ভিতরে উঁকি দেওয়া যাক। হলুদ রঙের সিটে বসে ৫০ বছর আগের ভিন্টেজ গাড়ির অনুভূতি পাবেন। এ কালের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, এর অনুভূতি পাওয়ার জায়গাটা রাখা হয়েছে সেই আগের মতোই। যাতে আপনি ফিরে যেতে পারেন সেই মনের ফেলে আসা কোণে। ড্যাশবোর্ডে ১২.৩ ইঞ্চি ডিজিটাল ডিসপ্লের সাহায্যে চালক খুব সহজে গাড়িটি চালাতে পারবেন। এটি একএবারেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি।

স্পোর্টস কার নিজের করে নেওয়ার কথা ভাবছেন? নিশান জেড প্রোটোর দিকে ঝুঁকতে পারেন কিন্তু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন