Mimi Chakraborty

Mimi Chakraborty: পুজো মানেই আমার কাছে পাঁঠার মাংস, মিষ্টি আর প্রিয় শাড়ির অঞ্জলি

শহর জুড়ে হোর্ডিং, ছাতিম ফুলের গন্ধ, দূর থেকে ভেসে আসা ঢাকের আওয়াজ  ছাড়া কি পুজো ভাবা যায়! প্রতি বছরের মতো এ বারও তাই শহরেই থাকছি। 

Advertisement

মিমি চক্রবর্তী

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২১ ১৯:০২
Share:

মিমি চক্রবর্তী।

সবাই জানে আমার পায়ের তলায় সর্ষে। ঘুরে বেড়াতে খুব ভালবাসি। নতুন নতুন জায়গা দেখতে এ দিক- সে দিক ছুটে যাই। কিন্তু পুজোর সময় কলকাতা ছাড়া আর কোথাও থাকার কথা ভাবতেই পারি না। শহর জুড়ে হোর্ডিং, ছাতিম ফুলের গন্ধ, দূর থেকে ভেসে আসা ঢাকের আওয়াজ ছাড়া কি পুজো ভাবা যায়! প্রতি বছরের মতো এ বারও তাই শহরেই থাকছি।

Advertisement

পঞ্চমীতে আমার ছবি মুক্তি পেয়েছে। তার প্রচারের জন্য কয়েক দিন বেশ ব্যস্ত ছিলাম। দম ফেলারও সময় পাইনি। ছুটি পেলাম ষষ্ঠী থেকে। এই পাঁচটি দিন নিজের মতো করে কাটাব। পরিবারকে সময় দেব, আমার বাচ্চাগুলোর সঙ্গে খেলা করব। সারা বছর এই দিনগুলোর জন্যই যত অপেক্ষা। কাছের মানুষগুলোকে মনের মতো করে কাছে পাই। এ বছর মা আমার সঙ্গে রয়েছে। কাজের জন্য মাকে সময় দিতে পারি না। এই ক’দিন মায়ের কাছে যতটা থাকা যায়, থাকব। আমার আবাসনে বড় করে পুজো হয়। মায়ের সঙ্গে ওখানে অনেকটা সময় কেটে যাবে। প্রত্যেক বছরের মতো এ বারও মা আমাকে পুজোতে শাড়ি উপহার দিয়েছে। সেই শাড়িটা পরব বলে অপেক্ষা করে আছি। সারা বছর যতই ব্যস্ত থাকি না কেন, পুজোর আগে আমিও মায়ের জন্য উপহার কিনে ফেলেছি।

Advertisement

‘পুজোর সময় আমার মিষ্টি প্রীতিও এক লাফে অনেকটা বেড়ে যায়।’

পুজোয় ছুটি পাব, এ দিকে আড্ডা হবে না? এমন আবার হয় নাকি! এ বছর বন্ধুদের নিয়ে ঘরোয়া পার্টি হবে। প্রচুর খাওয়াদাওয়া করব। মন ভরে মাংস খাব। ঝোলে-ঝালে-কষায়! পুজোর সময় আমার মিষ্টি প্রীতিও এক লাফে অনেকটা বেড়ে যায়। তাই দিনভর চুটিয়ে খাওয়াদাওয়ার পর শেষ পাতে মিষ্টি চাই-ই চাই!

করোনাকে সঙ্গী করে আমাদের দ্বিতীয় পুজো। এত আনন্দ, উচ্ছ্বাসের মাঝেও কালো মেঘের মতো ছেয়ে রয়েছে অতিমারির ভয়। চাইব সব ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করেই উৎসবের উদযাপন হোক।

পুজোর চারটে দিন জমিয়ে খাওয়াদাওয়া আর আড্ডা।

আমার বাড়ি থেকে বেরলেই গড়িয়াহাট। যাতায়াতের পথে দেখি অনেকেই মাস্ক না পরে ঘুরছেন, কেনাকাটা করছেন। কয়েক মাস আগেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপট দেখেছি আমরা। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। শহর জুড়ে তখন অক্সিজেনের হাহাকার, অ্যাম্বুলেন্সের আওয়াজ। আমি চাই না এই শহর আবারও সেই ভয়ঙ্কর দিনের সাক্ষী হোক। তাই আমাদের মাস্ক পরার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আরও সাবধানী হতে হবে। দরকার হলে জামার সঙ্গে মিলিয়ে মাস্ক তৈরি করুন। তাতে সাজের ব্যাঘাত ঘটবে না। কিন্তু দয়া করে প্রত্যেকে মাস্ক পরুন।

আমিও সব ধরনের বিধিনিষেধ মেনেই আনন্দ করব। সারা বছর অপেক্ষা করেছি এই দিনগুলোর জন্য। মনের মতো করে সাজাব নিজেকে। রাত পেরলেই অষ্টমী। আপাতত প্রিয় শাড়ি পরে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার অপেক্ষা শুরু…

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন