ত্বকের যত্ন শুরু করুন এখন থেকেই। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
জমজমাট মেক আপ। চুল নিয়ে যথেচ্ছ খেলা। পুজোয় তো লেগেইছিল, এ বার দশমীর সিঁদুর মেখে মুখের রফাদফা!
ফিরতে হবে স্বাভাবিক জীবনে। তাই যতই সিঁদুর খেলুন বাড়িতে এসে নুন-জল ফুটিয়ে ঠান্ডা করে বার বার তাতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
রাত জাগা, ভাজাভুজি খাওয়া, যথেচ্ছ মেক আপের পর এ বার অবশ্যই একটা হাইড্রা ফেশিয়াল করান। এই ফেশিয়াল কিন্তু মাস্ট। মুখের উপর যা অত্যাচার চলে, তাতে ‘পিএইচ’ ব্যালান্স নষ্ট হয়ে যায়। আমরা মেক আপ তো করি। কিন্তু জানি কী? সেই মেক আপের পার্টিকল রোমকূপের মধ্যে ঢুকে চামড়ার ক্ষতি করে।
আরও পড়ুন: এ সব ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফ্যাশনকে করে তুলুন আরও সহজ
আমরা যে ফাউন্ডেশন মেক আপে লাগাই সেটা যত দামি হোক, আসলে তো কেমিক্যালের গোলা। তাই বলে কি ফাউন্ডেশন লাগাব না? অবশ্যই লাগাব। ফাউন্ডেশনের গায়ে লেখাই থাকে কী কেমিক্যাল লাগাচ্ছি। জানা কেমিক্যালে অত ভয় নেই। কিন্তু সেগুলো ক্রমাগত ব্যবহার করে মুখের পরবর্তী ধাপের যত্ন নিতে হবে।
ফেশিয়ালের সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর জল খেতে হবে। শীত আসছে। এমনি চুল থেকে পা সব শুষ্ক হয়ে যাবে। তাই দরকার হলে মনে করে জল খেতে হবে। ডাবের জলও অবশ্যই খান। ফেশিয়ালের সঙ্গে সঙ্গে ডিপ পোর ক্লিনসিং অত্যন্ত জরুরি। আর তার সঙ্গে সঙ্গে যতটা পারবেন ডিটক্স ওয়াটার খান। সবরকম ফল রাতে ভিজিয়ে রেখে সেই জলটা পরের দিন খান। এটা শরীরের জন্য উপকারী।
যাঁরা পুজোর সময় ব্লিচ করিয়েছেন তাঁরা অবশ্যই মাসাজের ওপর জোর দিন। আর চুলে যারা কেরাটিন করিয়েছেন তারা মাসে একটা করে স্পা করার রুটিনে ফিরে যান।
আরও পড়ুন: ফ্যাশনিস্তা রাইমা কী কিনলেন পুজোয়, জানেন?
ত্বক ভাল রাখার জন্য সবচেয়ে জরুরি অক্সিজেন। তাই যখন পারবেন ব্রিদিং ব্রিদ আউট করুন। এই অভ্যাস ত্বক থেকে মন সব কিছুকে সুস্থ রাখবে।