প্রতীকী চিত্র
সাজের সঙ্গে মানানসই গয়না না হলে পুরোটাই বৃথা। জমকালো একটা শাড়ি পরেছেন, এ দিকে কানে ব্যথার ভয়ে ঝুলিয়ে নিলেন ছোট্ট, হালকা একটি দুল। সে তো চুলের বাহারেই ঢেকে গেল। এ ভাবেই কি মাঠে মারা যেতে দেবেন পুজোর সাজ? অন্য দিকে, সারা দিন ঠাকুর দেখে এসে কানের ব্যথাতেও যে কাতরাতে হবে, সে-ও তো সত্যি! তা হলে উপায়? কখনও ভেবে দেখেছেন, তারকারা কী ভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টার অনুষ্ঠানের পরেও হাসিমুখে তাঁদের বড় বড় ঝুমকো সামলান? সমস্যা থাকলে তার সমাধানও রয়েছে। রইল ব্যথামুক্তির টিপ্স।
এই যুগে দাঁড়িয়ে সব কিছুরই যেন সমাধান হাতের নাগালে। একটু ইন্টারনেট ঘাঁটলেই পাওয়া যাবে ‘ইয়ার লোব’ অথাৎ আঠা লাগানো ছোট গোলাকার টেপ মতো একটি বস্তু। এগুলি কানে লাগিয়ে নিয়ে দুল পরলে ব্যথা অনুভূত হয় না।
এ ছাড়াও রয়েছে সার্জিকাল টেপ। এর আঠার দিকের অংশ কানের লতিতে আটকে দিতে হয়। এ বার ভারী দুল পড়লে তুলনায় ব্যথা কম হয়। এ ক্ষেত্রে দুলের পিনটি ওই টেপ ভেদ করে বাইরে বেরিয়ে আসে। সেখানেই প্যাঁচটি আটকে নেওয়া যায় সহজে।
বেশির ভাগ ভারী দুলের সঙ্গে টানা চেনের মতো একটা অংশ থাকে, যেটিকে চুলের সঙ্গে আটকে নিতে হয়। চেনটি ওই দুলটিকে উপরে টেনে ধরে রেখে তার ভার কমায়।
কিন্তু অনেক সময়ে সাজের সঙ্গে ওই চেন মানানসই হয় না ঠিক মতো। এ ক্ষেত্রেও কোনও সমস্যা নেই। ডিজাইনার চেন ছাড়াও অনলাইনে প্লাস্টিকের তৈরি বেরঙিন নকল চেন পাওয়া যায়। এর কাজও দুলটিকে উপরে টেনে ধরে রেখে কানের লতির উপরে ভার কমানো। খালি চোখে দূর থেকে দেখা যায় না এটিকে। ফলে সাজের সঙ্গেও কোনও আপস হয় না।
শুধু ব্যথাই নয়, ভারী কানের দুল খুলে পড়ে যাওয়ারও চিন্তা থাকে। পুজোর ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে এমনটা হলে ভিড় রাস্তায় তখন দুল খুঁজতে বসবেন নাকি! তার চেয়ে দুলের প্যাঁচ বদলান। ছোট স্টিলের বা ধূসর রঙের পুশের পরিবর্তে রবারের তৈরি পুশ ব্যবহার করুন। এতে যেমন চাপও কমে, তেমনই দুলটিকে খুব শক্ত করেও ধরে রাখে এটি।
আরও একটা কাজ করতে পারেন। কানে দুল পড়ার আগে লতিতে ভাল করে ময়শ্চারাইজার বা কোনও অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম লাগিয়ে নিন। একটু শুকিয়ে গেলে সাবধানে দুলটি পড়ে নিন। তাতে ব্যথাও কম লাগবে আর জায়গাটিতে ঘা হওয়ার আশঙ্কাও থাকবে না।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।