সংগৃহীত চিত্র
পুজোর ঢাক বেজে উঠতেই বাঙালির মন কেমন যেন ছটফট করে। শহরের অলিগলি আলো আর আনন্দ মাখে মনের সুখে। নিজেদেরও সেজে ওঠার এই তো সময়। সবাই তাই যেন নিজের সেরাটা উজাড় করে দেয়। কেবল নারীর শাড়ি-সালোয়ারে নয়, পুজোয় পুরুষদের সাজেও থাকে বিশেষ চমক। নতুন পাঞ্জাবি, পরিপাটি ধুতি, আর এক চিলতে রসবোধে মিশে থাকে ঐতিহ্য আর আধুনিকতার বুনন।
১। পুজোর কয়েকটা মোটে দিন। চতুর্থী বা পঞ্চমী থেকেই শুরু হয়ে যায় তার প্রস্তুতি। সাদা পাঞ্জাবির সঙ্গে হালকা গোলাপি রঙা পায়জামা বা চুড়িদার পরলে বেশ একটা স্নিগ্ধতা থাকে কিন্তু।
২। ষষ্ঠীর সন্ধেয় আড্ডা জমবে বন্ধুরা মিলে। একটা হলদে পাঞ্জাবি আর সাদা প্যান্ট বা ধুতিতে নিজেকে সাজিয়ে নেওয়া যেতেই পারে।
৩। সপ্তমীর সকালটা একটু ছিমছাম। একরঙা মেরুন পাঞ্জাবি, তার সঙ্গে সাদা পায়জামা। আর গলায় যদি একটা হালকা কাজের সাদা ওড়না থাকে, তা হলে পুরো সাজটাই অন্য মাত্রা পায়।
৪। অঞ্জলির সাজে সাদা ধুতি আর লাল পাঞ্জাবির জুটি যেন শাশ্বত। একে যদি উল্টে দেওয়া যায়? সাদা পাঞ্জাবির সঙ্গে লাল ধুতি– তাতেও জমে উঠবে অষ্টমীর সকাল।
৫। অষ্টমীর দিন তো বটেই, পুরুষদের সাজে কালো রঙের আবেদন সব সময়েই আলাদা। কালো পাঞ্জাবি আর প্যান্টের সঙ্গে জরির কাজ করা ওড়না বা উত্তরীয় পরলে একটা রাজকীয় ভাব আসে।
৬। কালো পাঞ্জাবির সঙ্গে সাদা পায়জামা বা নীল রঙা পাঞ্জাবির সঙ্গে সাদা পায়জামা — এগুলি চিরন্তন ক্লাসিক।
৭। নবমীর রাতে একটু জমকালো সাজ ভালো লাগে। সাদা পাঞ্জাবির সঙ্গে লাল কোঁচানো ধুতি বা কালো পাঞ্জাবির সঙ্গে লাল ধুতি একটা চমৎকার কনট্রাস্ট তৈরি করে দেবে।
৮। অথবা রয়্যাল ব্লু পাঞ্জাবির সঙ্গে সাদা চুড়িদার— একেবারে জমকালো বিকেলের সাজ।
৯। সোনালি পাঞ্জাবি আর ধুতি, পুজোর সন্ধ্যায় আলো-আঁধারির মাঝে এনে দেবে রাজকীয় আভা।
১০। সবুজে সোনালি ছোঁয়া পাঞ্জাবির সঙ্গে মানানসই পাজামা, ঢাক-ঢোলের তালে রাতের আনন্দে আরও একটু রং যোগ করবে।
১১। দশমীর রাত আরও জমে উঠতেই পারে, যদি কালো পাঞ্জাবির সঙ্গে কোঁচানো লাল ধুতি পরা যায়।
১২। সব শেষে, কখনও একেবারে সাধারণ হলুদ পাঞ্জাবির সঙ্গে কালো জিন্স। তাতেও কিন্তু দারুণ স্মার্ট দেখায়। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)