Significance of Ganesh Chaturthi

কেন করা হয় গণেশ পুজো? জানেন কি?

গজানন গণেশ বুদ্ধি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের সর্বোত্তম দেবতা। তাঁর পূজা নিয়ে নানা কথা এই লেখায়।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:১২
Share:

প্রতীকী চিত্র

এবার গণেশ চতুর্থী সামনের মঙ্গলবার। যার মানে এ বছরের গণেশ পুজো ১৯ সেপ্টেম্বর। মূলত মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে আড়ম্বরে গণেশ পুজো হয়। বলিউডের তাবড় তাবড় তারকারাও গণেশ আরাধনায় মেতে ওঠেন। এছাড়াও গোয়া সহ দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোয় মহাসমারোহে গণেশ পুজো হয়। গত কয়েক বছরে কলকাতাতেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গণেশ পুজো। শহরের অনেক বারোয়ারি ক্লাবে ধুমধামের সঙ্গে গণেশ পুজো হচ্ছে ইদানীং।

Advertisement

হিন্দু দেবদেবীদের পুজোগুলির মধ্যে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পুজো হল গণেশ পুজো। মহেশ্বর শিব ও দেবী পার্বতীর দ্বিতীয় পুত্র ছিলেন গণেশ। হিন্দুশাস্ত্র মতে, এই দিন গণেশ তাঁর ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করতে মর্ত্যে অবতীর্ণ হন। গজানন গণেশ বুদ্ধি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের সর্বোত্তম দেবতা। গণেশ ভক্তরা তাঁদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে নানা বাধাবিপত্তি থেকে মুক্তি পেতে এই পুজো করে থাকেন। শ্রী গণেশের বাহন হল ইঁদুর।

গণেশ পুজো বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। সংস্কৃত, কন্নড়, তামিল ও তেলেগু ভাষায় এই উৎসব বিনায়ক চবিথি বা বিনায়ক চতুর্থী নামে পরিচিত। কোঙ্কনি ভাষায় এই উৎসবের নাম চবথ। আবার নেপালি ভাষায় এই উৎসবকে বলা হয় ঘি চথা।

Advertisement

হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী ভাদ্রমাসের শুক্লা চতুর্থী তিথিতে গণেশ পুজোর আয়োজন করা হয়। এবং দশ দিন ধরে চলার পর উৎসবের সমাপ্তি হয় অনন্ত চতুর্দশীর দিন। বলা হয়, যাবতীয় শুভ কাজের শুরু শ্রী গণেশের নাম নিয়ে করলে তা সফল হয়। গণেশ পুজো বাদ দিয়ে কোনও পুজোই সম্পূর্ণ হয় না। দেবতাদের মধ্যে গণেশকেই প্রথম পূজ্য দেবতা বলে গণ্য করা হয়। গণেশের ১০৮টা নাম আছে। এর মধ্যে গণপতি, গজানন, বিনায়ক এবং বিঘ্নরাজ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। গণেশ হলেন সমৃদ্ধির প্রতীক। তাই তাঁর আরেক নাম সিদ্ধিদাতা গণেশ।

পুরাণ অনুসারে, গণেশের সৃষ্টি দেবী পার্বতী করেছিলেন এবং তাঁর দরজা পাহারা দিতে গণেশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন পার্বতীই। শিব গৃহে ফিরে পার্বতীর ঘরে ঢুকতে গেলে গণেশ তাঁকে বাধা দেন। একটি ছোট ছেলের এতো আস্পর্ধা দেখে শিব রেগে যান। শিবের সঙ্গে গণেশের যুদ্ধও শুরু হয়। রাগের মাথায় শিব মাথা কেটে ফেলেন গণেশের। গণেশের মুণ্ডহীন দেহ দেখে পার্বতী কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁর সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে বলেন শিবকে। শিব তখন অন্য দেবতাদের নির্দেশ দেন, উত্তর দিকে গিয়ে যার মাথা আগে দেখতে পাবে, সেই মাথাই কেটে নিয়ে আসতে। দেবতারা প্রথমেই একটি হাতি দেখতে পেয়ে তারই মাথা কেটে নিয়ে আসে। সেই হাতির মাথাটিই গণেশের দেহে বসিয়ে দেন শিব। তখন থেকেই তিনি গজানন। এবং তিনি এ ভাবেই পূজিত হন।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন