Durga Puja 2020 Durga Puja Celebration Kolkata Durga Puja 2020 Durga Puja

উৎসবেও বাড়িতেই, ভিটামিন ডি’র ঘাটতি মেটাতে কী করতেই হবে

প্রতিদিন ২০ মিনিট অন্তত রোদে থাকলে ৪০ শতাংশ ভিটামিন ডি শোষিত হয় ত্বকে।

Advertisement

রোশনি কুহু চক্রবর্তী

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২০ ১৬:৩৪
Share:

উৎসবেও বাইরে বেরোননি সচেতন দায়িত্বশীল নাগরিকরা। এখনও তাঁরা বাড়িতেই। কিন্তু বাড়িতে একটানা থাকার ফলে ঘাটতি হয়েছে ভিটামিন ডি’র। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষরা প্রায় ৭ মাস বাইরে সে ভাবে পা রাখেননি। ভিটামিন ডি-র অভাব নানারকম সমস্যা ডেকে আনতে পারে। শরীরের অন্যতম জরুরি ভিটামিনটি যে কেবল হাড় ও পেশির স্বাস্থ্য ভাল রাখে এমন নয়, যে কোনও সংক্রমণ ঠেকাতে ও শরীরের প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে জোরদার করে তুলতে তার বিরাট ভূমিকা আছে।

Advertisement

প্রায় ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ ভিটামিন ডি আসে সূর্যালোক থেকে। ত্বকের মাধ্যমে শোষণ হয় সেটি। প্রতিদিন ২০ মিনিট অন্তত রোদে থাকলে ৪০ শতাংশ ভিটামিন ডি শোষিত হয় ত্বকে। কিন্তু করোনা আবহে এই রুটিন মানতে পেরেছেন কজন?

পুষ্টিবিদ সোমা চক্রবর্তী বলেন, ভিটামিন ডি শরীরে পর্যাপ্ত মাত্রায় থাকলে, সাধারণ সর্দিকাশি কম হয়। যাঁদের শরীরে ভিটামিন ডি ভাল পরিমাণে রয়েছে, তাঁরা কম আক্রান্ত হচ্ছেন। অথবা সংক্রমণ তত গুরুতর আকার নিচ্ছে না। তাই বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত।

Advertisement

আরও পড়ুন: চিনে নিন চিনি-র কামাল! ফিরবে ত্বকের জেল্লা

ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খান

ভিটামিন ডি-র ঘাটতিতে কী হতে পারে

তা হলে সাপ্লিমেন্ট

"সাধারণ অবস্থায় রক্ত পরীক্ষা করে তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়", জানালেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামী। তাঁর কথায়, "ভিটামিন ডি ২০ ন্যানোগ্রাম/মিলিলিটারের নীচে গেলে ওষুধ দেওয়া হয়, কিন্তু এখন যেহেতু মানুষ ঘরে থাকছেন বেশি, বয়স্ক মানুষ, কোভিডের রিস্ক ফ্যাক্টর আছে, যেমন, হৃদরোগ, হাই প্রেশার, ডায়াবিটিস, ফুসফুসের সমস্যা, ধূমপান ইত্যাদি রয়েছে, ঋতুবন্ধ হয়ে গেছে এমন মহিলারা ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে সাপ্লিমেন্ট খাওয়া শুরু করে দিতে পারেন। রক্তে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা সহজে বিপদসীমার উপরে যায় না। অন্যদিকে, শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকলে সংক্রমণের আশঙ্কা কিছুটা কমতে পারে।

আরও পড়ুন: গাঁদা কিংবা গোলাপ, নানা ফুলের ব্যবহারেই জেল্লাদার ত্বক

ত্বকে নিয়মিত নির্দিষ্ট সময় ধরে রোদ লাগলে ভিটামিন ডি তৈরি হয়

ত্বক চিকিৎসক অরিত্র সরকারের কথায়, “ত্বকে নিয়মিত নির্দিষ্ট সময় ধরে রোদ লাগলে ভিটামিন ডি তৈরি হয়, কিন্তু সমীক্ষা বলে গরম ও রং কালো হয়ে যাওয়ার ভয়ে বেশির ভাগ মানুষ রোদ থেকে দূরে থাকেন। ব্যবহার করেন ছাতা, টুপি, রোদচশমা, সানস্ক্রিন। ফলে দিনে ৩০-৪০ মিনিট খোলা শরীরে রোদ লাগানোর যে নিয়ম মানলে সমস্যা মেটে, তা হয় না। মাঠে বা পার্কে হাঁটাহাটি করলে কিছুটা কাজ হয়। সেটাও হয়ে ওঠে না। কারণ স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ জিমে ব্যায়াম করাই বেশি পছন্দ করেন। এর সঙ্গে আরও কয়েকটি কারণ যুক্ত হলে বিপদ আরও বাড়ে”।

কোভিড ও ভিটামিন ডি

করোনা সংক্রমণ সবার আগে প্রভাব ফেলেছে ফুসফুসে, বলছেন চিকিৎসকরা। কাজেই প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ফুসফুসকে যদি সতেজ রাখা যায়, বাড়ানো যায় তার কর্মক্ষমতা, রোগের আশঙ্কা যেমন কমে, কমে জটিলতার আশঙ্কাও। তার উপর হৃদরোগ, হাই প্রেশার, ডায়াবিটিস, বেশি বয়স, সবই কোভিডের রিস্ক ফ্যাক্টর। তাই পুষ্টিকর খাবার খান। বারান্দায় বা ছাদে যেখানে রোদ এসে পড়ে, সেখানে হাঁটাহাঁটি করুন, যাতে শরীরে কিছুক্ষণ হলেও রোদ লাগে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন