এ বার পুজোয় যদি অফিস থেকে সরাসরি ঠাকুর দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তা হলে ব্যাগে ১০টি জিনিস রাখা অবশ্যকর্তব্যের মধ্যে পড়ে! এগুলি থাকলে মাত্র কয়েক মিনিটেই অফিসের ফর্মাল লুক বদলে প্যান্ডেল-রেডি!
বেস মেকআপের জন্য বিবি/সিসি ক্রিম বা কুশন ফাউন্ডেশন: দিনের বেলায় ভারী ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করে হালকা কভারেজের জন্য একটি বিবি বা সিসি ক্রিম অথবা কুশন ফাউন্ডেশন রাখুন। এগুলি ত্বকে আর্দ্রতা জোগায় এবং দ্রুত মেকআপ ব্লেন্ড করতে সাহায্য করে। ব্যবহারের টিপস: অফিসের মেকআপের উপরে প্রয়োজন অনুযায়ী হালকা করে লাগিয়ে স্পঞ্জ বা আঙুলের সাহায্যে ব্লেন্ড করে নিন। এতে বেস রিফ্রেশ হবে।
ফেস ম্যাটিফাই করার জন্য কমপ্যাক্ট পাউডার বা ব্লটিং পেপার: সারা দিন অফিস করার পরে মুখের টি-জোন (কপাল, নাক ও চিবুক) সাধারণত তেলতেলে হয়ে যায়। এটি লুক নষ্ট করে দেয়। তেল শুষে নিতে এবং মেকআপ সেট করতে ম্যাটিফাইং কমপ্যাক্ট বা ব্লটিং পেপার ব্যবহার করুন। ব্যবহারের টিপস: ব্লটিং পেপার দিয়ে আলতো করে তেল শুষে নিন। এর পরে সামান্য কমপ্যাক্ট পাউডার দিয়ে মুখ সেট করুন।
চোখে উৎসবের ছোঁয়া— শিমারি আইশ্যাডো প্যালেট (স্মল সাইজ): রাতের সাজে চোখের মেকআপ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাগে একটি ছোট আইশ্যাডো প্যালেট (যার মধ্যে গোল্ড, কপার বা ব্রোঞ্জের মতো শিমারি রং রয়েছে) রাখুন। ব্যবহারের টিপস: অফিস-মেকআপের উপরে সরাসরি আঙুল দিয়ে চোখের পাতার মাঝখানে সামান্য শিমারি রং লাগিয়ে নিন। এতেই আপনার চোখ রাতের আলোর জন্য তৈরি।
ল্যাশ ঘন দেখানোর জন্য কালো আইলাইনার ও মাস্কারা: চোখে গভীরতা আনতে এবং সাজকে জমকালো করতে আইলাইনার ও মাস্কারা অপরিহার্য। এটি চোখ আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। ব্যবহারের টিপস: অফিসের হালকা লাইনারের ওপর আর একটু গাঢ় করে উইং বা ক্যাট আই লাইনার টেনে নিন এবং দুই থেকে তিন কোট মাস্কারা ব্যবহার করুন।
একটি গাঢ় বা উজ্জ্বল রঙের লিপস্টিক: দিনের বেলার ন্যুড বা হালকা লিপস্টিকের বদলে রাতে ঠাকুর দেখার জন্য একটি ক্লাসিক লাল, মেরুন বা হট পিঙ্ক শেডের ম্যাট লিপস্টিক রাখুন। এটি দ্রুত আপনার চেহারা বদলে দেবে। ব্যবহারের টিপস: অফিসের লিপস্টিক মুছে ফেলে সরাসরি পছন্দের গাঢ় শেডটি লাগান।
হাইলাইটার স্টিক: প্যান্ডেলের আলোয় ত্বক যাতে উজ্জ্বল দেখায়, তার জন্য হাইলাইটার দরকার। পাউডার হাইলাইটারের চেয়ে স্টিক বা ক্রিম হাইলাইটার ব্যাগে বহন করা সহজ। ব্যবহারের টিপস: আপনার গালের উঁচু অংশ, নাকের ডগা এবং ভ্রুর নীচে অল্প করে হাইলাইটার লাগিয়ে আঙুল দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।
তরতাজা লুকের জন্য রোজ ওয়াটার স্প্রে বা ফেস মিস্ট: সারা দিন এসির নীচে থাকার পরে ত্বক ক্লান্ত দেখায়। মেকআপ শুরু করার আগে বা শেষ করার পরে এক ঝলক ফেস মিস্ট বা রোজ ওয়াটার স্প্রে করলে ত্বক সতেজ লাগবে এবং মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী হবে। ব্যবহারের টিপস: মুখে স্প্রে করে হাত দিয়ে আলতো করে চাপ দিন।
চুলের সাজের জন্য কয়েকটি সেফটি পিন ও ক্লিপ: মেকআপের পাশাপাশি চুলের সাজও জরুরি। কয়েকটি বিনুনি বা সাধারণ ক্লিপ দিয়ে চটজলদি খোঁপা বা হাফ আপ-হাফ ডাউন করে নিতে পারবেন। এটি পরিশ্রান্ত ভাব দূর করে ফ্রেশ লুক দেবে। ব্যবহারের টিপস: চুল হালকা করে বেঁধে তাতে একটি ফুল বা সাজের ক্লিপ যোগ করুন।
ঐতিহ্যবাহী সাজের জন্য টিপ ও ছোট কানের দুল: বাঙালি নারীর সাজে টিপ ও গয়না অপরিহার্য। মেকআপ শেষ করার পরে একটি লাল বা কালো টিপ দ্রুত আপনার চেহারায় উৎসবের আমেজ আনবে। ছোট একটি ঝুমকো বা ঐতিহ্যবাহী কানের দুল রাখুন। ব্যবহারের টিপস: লিপস্টিকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে টিপ পরুন। হাতে কয়েকটি চুড়িও পরতে পারেন।
মেকআপ তুলতে ওয়েট টিস্যু বা মেকআপ রিমুভার ওয়াইপস: ভুল হয়ে যাওয়া মেকআপ দ্রুত ঠিক করতে অথবা দিনের শেষে ক্লান্তি দূর করতে ওয়েট টিস্যু বা মেকআপ রিমুভার ওয়াইপস খুব কাজের। ব্যবহারের টিপস: পুরনো মেকআপের কোনও অংশ মুছতে বা রাতে বাড়ি ফিরে দ্রুত মেকআপ তুলে ফেলতে এটি ব্যবহার করুন। এই বিষয়গুলি মাথায় রাখলেই অফিস থেকে সরাসরি প্যান্ডেল হপিংয়ে যেতে আপনার সাজগোজ সংক্রান্ত অন্তত কোনও সমস্যা হবে না। ( ‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।