২০২৫ সালের ধনত্রয়োদশী পালিত হবে ১৮ অক্টোবর, শনিবার।
সংসার এবং জীবনে সমৃদ্ধি লাভের জন্য এ দিন দেবী লক্ষ্মী, ধন সম্পদের দেবতা কুবের ও ধন্বন্তরির পুজো করা হয়।
এই দিন কয়েকটি জিনিস কেনা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
সোনা, রূপা, বাসনপত্র, দামি ধাতু, বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের সঙ্গে এ দিন কেনা হয় ঝাঁটা।
আগে মূলত অবাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যেই ধনতেরসে ঝাঁটা কেনার রেওয়াজ ছিল। এখন বাঙালিরাও সামিল হয়েছে ট্রেন্ডে।
ধনতেরসের দিন পাড়ার দোকান থেকে শপিংমল, সর্বত্রই ঝাঁটার চাহিদা থাকে তুঙ্গে! এমনকি দোকানে লাইন দিয়ে ঝাঁটা কেনার দৃশ্যও দুর্লভ নয়।
কিন্তু জানেন কি কেন ধনতেরসে কেনা হয় ঝাঁটা?
লোকবিশ্বাস, দীপাবলি বা ধনতেরসে ঝাড়ু কিনলে দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। সকল ঋণ থেকে মুক্তি মেলে। সংসারে সমৃদ্ধি আসে। আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি হয়।
মানে আপনার মাসের ইএমআই-এর চাপ কমাবে ধনতেরসের নতুন ঝাঁটা!
তবে এ ক্ষেত্রে কতগুলি নিয়ম মানতে হয়।
ধনতেরস বা দুপুরের পরে এবং সূর্যাস্তের আগে ঝাড়ু কিনতে হয়। রাতে ঝাড়ু কেনা অশুভ।
প্লাস্টিকের নয়, নারকেল পাতার শলার ঝাঁটা বা বেতের ঝাড়ু কিনতে হবে। ঝাঁটা বা ঝাড়ুর কোনও কিছু যেন ভাঙা না থাকে।
পুরনো ঝাঁটার পুজো করার পরে নতুন ঝাড়ুর গায়ে সিঁদুর বা কুমকুম লাগানো হয়। তার পরে সেটি ব্যবহার করা হয়।
পুরনো অথবা ভাঙা ঝাঁটা ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে পুরনোকে বাতিল করার আগে অবশ্যই কিনতে হবে নতুন।
এমনকি বাড়িতে ঝাঁটা রাখার অবস্থানটিও গুরুত্বপূর্ণ।
ঝাঁটা কেনার পরে তা কোনও ভাবেই রান্নাঘর, শোওয়ার ঘর, খাটের নীচে বা আলমারির কাছে রাখা যায় না।
বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম বা উত্তর-পূর্ব দিকে মাটিতে শুইয়ে ঝাঁটা রাখলে শুভ। বাইরে থেকে ঝাঁটা দেখা গেলে তা অশুভ।
ধনতেরসের দিন ঝাড়ু কেনার পাশাপাশি মন্দিরে ঝাড়ু দান করা হয়। এতে ঘরের নেতিবাচক আবহ কেটে যায়। অনেকেই তাই একাধিক ঝাঁটা কেনেন।
ধনলক্ষ্মী ও কুবেরকে প্রসন্ন করতে ঝাঁটার সঙ্গে কেনা হয় নুনও। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।