পুজো এল বলে! সেজে উঠছে বাংলা। সাজছেন আপনিও। চার দিন কী কী করবেন, পরিকল্পনা তৈরি নিশ্চয়ই? কিন্তু শুধুই কি আপনি সাজবেন? সাজাতে তো হবে ঘরকেও। পুজোর ক'দিন বাড়িতে আসা অতিথিদের চমকে দিতে হবে তো!
ঘর সাজানোর জন্য ফুলদানির থেকে ভাল কিছু হতে পারে না। দেখে নিন কী কী ফুলদানি দিয়ে নিজের ঘর সাজালে একেবারে আলাদা চেহারা পাবে।
কাঠের ফুলদানি: পরিবেশের কথা মাথায় রাখতে চান? বেছে নিন কাঠের ফুলদানি। এই ফুলদানিগুলো একেবারে অন্য স্বাদ এনে দেয় আপনার বসার ঘর, শোয়ার ঘর বা পড়ার ঘরে।
বাঁশের ফুলদানি: ছিমছাম অথচ নজরকাড়া কিছু খুঁজছেন? বাঁশের ফুলদানির কথা ভাবতে পারেন। দাম তুলনামূলক ভাবে কম। দেখতেও বেশ সুন্দর।কফি টেবিল বা তাকের উপরে, কিংবা দেওয়ালে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। আপনার ঘরের চেহারা বদলে দেবে।
কাঁচের ফুলদানি: ইদানীং কাচের ফুলদানি খুব চলছে বাজারে। এই ফুলদানিগুলোর বিভিন্ন আকৃতি বাড়তি আর্কষণ তৈরি করে। অতিথিদের প্রশংসা কুড়িয়ে নেবেই।
বাল্ব ফুলদানি: নামে যেমন আজব লাগছে, তেমন দেখতেও একেবারে অন্য রকম।এইগুলো আপনি ঘরের সামনে রাখতে পারেন।
‘ইউ’-আকৃতির ফুলদানি: কাচের হোক বা কাঠের কিংবা প্লাস্টিক-- সব ধরনের ফুলদানিতে ‘ইউ’-আকৃতির এখন বাড়তি কদর। তাই চোখ-কান বন্ধ করে বেছে নিতেই পারেন।
জ্যামিতিক আকৃতির ফুলদানি: নামেই মালুম কেমন হতে পারে এই ধরনের ফুলদানির আকৃতি। যে কোনও জায়গায় রাখলে ঘরের শোভা অনেক গুণে বাড়িয়ে দেবে।
ফিউশন ফ্লাওয়ার ফুলদানি: একটা ফুলদানিতে অনেকগুলো ফুল রাখতে চান না? এই ফুলদানিগুলো তবে আপনার জন্য। এতে খুব বেশি হলে আপনি দুটো ফুল রাখতে পারবেন। ছোট আকৃতির হওয়ায় ঘরের যে কোনও জায়গায় রাখতে পারেন এই ফুলদানি।
মাটির ফুলদানি: সবচেয়ে চিরাচরিত ফুলদানি এটাই। বিভিন্ন কারুকার্য করা ফুলদানি ঘরে রাখুন। ঘরের শোভা এমনিতেই বাড়িয়ে দেবে।
ফেলে দেওয়া পাত্র থেকে ফুলদানি: ফেলে দেওয়া অব্যবহৃত পাত্র দিয়ে নিজেই বানিয়ে নিন ফুলদানি। বারান্দায় ঝুলিয়ে দিতে পারেন। অন্য রকম দেখাবে।
জুতো দিয়ে ফুলদানি: শুনে অবাক হচ্ছেন তো? ইদানীং অনেকে এ রকম বানিয়ে নিচ্ছেন নিজেই। আপনিও বানিয়ে দেখবেন নাকি? তারপর সাজিয়ে রাখুন বাড়িতে ঢোকার মুখে।
চাই শুধু একটা কায়দার ফুলদানি। তার পর দেখবেন কেমন পাল্টে যায় আপনার চেনা ঘরটাই!