শারদীয়ার আগমনী সুর বেজে উঠেছে। চার দিকে উৎসবের মেজাজ। কিন্তু জানেন কি, আমাদের দেশেরই একটি গ্রামে দেবী দুর্গা পূজিত হন বাঘের পিঠে চড়ে? শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই কিন্তু রীতি।
বিহারের দ্বারভাঙা জেলার হায়াঘাট ব্লকে আছে বাউরাম নামে এক ছোট্ট জনপদ। এই গ্রামটি কিন্তু দুর্গার এমন এক কাহিনির সাক্ষী, যা অনেকেরই অজানা।
এই গ্রামে দেবী দুর্গা বাগেশ্বরী রূপে পূজিত হন। স্থানীয়দের বিশ্বাস, দেবী নাকি রাতের অন্ধকারে বাঘের পিঠে চেপে গোটা গ্রাম ঘুরে বেড়াতেন।
এমনকী, অনেক গ্রামবাসী নাকি এই অলৌকিক দৃশ্য নিজেদের চোখে দেখেছেন বলেও দাবি করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দৃঢ় বিশ্বাস, স্বয়ং দেবী দুর্গা এই গ্রামেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আর সেই কারণেই তিনি এখানে বাগেশ্বরী রূপে পূজিতা।
এই গ্রামের এক অদ্ভুত কাহিনি আছে। এখানকার দুর্গামন্দিরটি নাকি কেউ তৈরি করেননি।
গ্রামবাসীরাই এক জায়গায় দুই থেকে তিন ফুট উঁচু একটি পাথর খুঁজে পান, যা ভগবতীর্থ থান নামে পরিচিত। সেই থানের আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আরও কিছু ছোট-বড় পাথর।
কথিত, গ্রামের কোনও কোনও বাড়ির উঠোনে নাকি হঠাৎ করে পাথর এসে পড়ত। কে বা কেন তা ফেলত, তা কেউ জানত না। সেই পাথরগুলি গ্রামবাসীরা আবার ভগবতীর্থ থানে ফিরিয়ে দিতেন।
বিহারের দ্বারভাঙা জেলার হায়াঘাট ব্লক থেকে মাত্র পনেরো কিলোমিটার দূরের গ্রাম এই বাউরাম।
প্রতি বছর নবরাত্রির সময়ে এই ভগবতীর্থ থানেই দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। বন্যা এবং আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া এই ছোট্ট গ্রামটি শুধুমাত্র ব্যাঘ্রবাহিনী দেবীকে ঘিরেই নবরাত্রির সময়ে মেতে ওঠে এক অন্য রকম আনন্দে। ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)