কারও মতে বাড়ির চারপাশ থেকে ভূতেদের তাড়ানোর জন্য, তো কেউ মনে করেন, নেতিবাচক শক্তিকে দূর করতেই ভূত চতুর্দশীতে ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়।
আবার কেউ কেউ বলেন, কালীপুজোর আগের দিন সন্ধ্যায় পিতৃপক্ষ ও মাতৃপক্ষের পূর্বপুরুষেরা আসেন মর্ত্যলোকে। তাঁদের সন্তুষ্ট করার জন্যেই নাকি এই নিয়ম।
তা অবশ্য নানা মুনি নানা মত পোষণ করতেই পারেন। কিন্তু জানেন কি, ঘরের মধ্যে যথার্থ স্থানে এই প্রদীপ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কোথায় কোথায় দিতে হয় এই ১৪ প্রদীপ?
যেমন বাড়ির ঠাকুরঘর। এখানে প্রদীপ রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বাড়িতে তুলসীমঞ্চ রয়েছে? সেটাও একটি পবিত্র স্থান। একটি প্রদীপ রাখুন তুলসীমঞ্চের কাছেও।
বাড়ির সদর দরজার দুই পাশে দু’টি প্রদীপ দিতে হবে।
কেউ কেউ বলেন, সেখানে লবঙ্গ রাখাও শুভ।
বাড়ির যেখানে জলের ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে অথবা কলতলা বা স্নানঘরের সামনে একটি প্রদীপ দিতে হবে।
বাড়ির দক্ষিণ দিকে একটি প্রদীপ রাখুন।
বর্তমানে খুব কম জনের ঘরেই মাটির উনুনের ব্যবস্থা আছে। সেই উনুন থাকলে সেখানেও একটি প্রদীপ দিন।
ঘরের মুখ্য দরজার মাঝে একটি প্রদীপ রাখুন।
কারও মতে, তাতে গুড়ও দিতে পারেন সামান্য।
প্রদীপ জ্বালানোর পাশাপাশি বলা হয়, বাড়িতে এ দিন ধুনো দেওয়াও শুভ।
তাতে অবশ্য দিন সৈন্ধব লবন, নিমপাতা, কালো সর্ষে, লবঙ্গ এবং কর্পূর। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)