Khajrana Ganesh Temple

উল্টোনো স্বস্তিকই ইচ্ছেপূরণের হাতিয়ার এই গণেশ মন্দিরে

মন্দিরের অলৌকিক কাহিনি ছড়িয়েছে বহু দূর। কথিত যে, এই মন্দিরের গণপতি তাঁর ভক্তদের প্রতিটি ইচ্ছা পূরণ করেন।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:১৬
Share:

সন্তানের ইচ্ছা থেকে সম্পদের আকাঙ্ক্ষা, চাকরির প্রয়োজন থেকে জ্ঞান ও প্রজ্ঞার বর-- সবেরই স্বস্তিক নাকি স্বস্তিক চিহ্ন। তা আবার সোজা নয়, উল্টো!

Advertisement

এমনটাই ঘটে মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে, খাজরানা গণেশ মন্দিরে। এ বার পুজোয় অন্য রকম অভিজ্ঞতার খোঁজে ঘুরে আসতেই পারেন এই অদ্ভুত বিশ্বাসে ঘেরা মন্দিরে।

মন্দিরের অলৌকিক কাহিনি ছড়িয়েছে বহু দূর। কথিত যে, এই মন্দিরের গণপতি তাঁর ভক্তদের প্রতিটি ইচ্ছা পূরণ করেন। তার জন্য মন্দিরের পিছনের দেওয়ালে একটি উল্টো স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে বর প্রার্থনা করতে হয় ভক্তদের। মনস্কামনা পূর্ণ হওয়ার পরে তাঁরা আবার এসে সোজা স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে যান। বহু বছর ধরে এই ধারা চলে আসছে।

Advertisement

ভক্তদের বিশ্বাস, মন্দিরে আঁকা উল্টো স্বস্তিক সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করে।

আর একটি বিশ্বাস অনুযায়ী, মন্দিরে তিন বার প্রদক্ষিণ করার সময়ে একটি সুতো বেঁধে দিলেও নাকি মনস্কামনা পূরণ হয়।

জনশ্রুতি বলে, খাজরানা গণেশ মন্দিরটি ১৭৩৫ সালে তৎকালীন হোলকার রাজবংশের শাসক, রানি অহল্যাবাই হোলকার দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। কথিত যে, স্থানীয় এক পণ্ডিত স্বপ্নাদেশ পান যে একটি নির্দিষ্ট স্থানে গণেশের মূর্তি মাটির নীচে লুকোনো রয়েছে। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করতে হবে। পণ্ডিত এই স্বপ্নের কথা সবাইকে বললে রানি অহল্যাবাই সেই জায়গায় খননকার্য চালান। সত্যিই উদ্ধার হয় গণেশের ঠিক একই রকম মূর্তি। তার পরেই নাকি এখানে মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছিল।

গণপতির এই মন্দিরটিকে দেশের অন্যতম ধনী গণেশ মন্দির বলে মনে করা হয়। মনোবাঞ্ছা পূরণের পরে ভক্তরা এখানে আসেন এবং সিদ্ধিদাতার উদ্দেশ্যে নৈবেদ্য নিবেদন করেন। এই মন্দিরে প্রতিদিন পূর্ণ আচারের সঙ্গে পূজা করা তবে। বুধবার সিদ্ধিদাতাকে দেওয়া হয় লাড্ডু। এই দিনে এখানে বিশেষ পূজা ও আরতির আয়োজনও করা হয়।

কী ভাবে যাবেন: হাওড়া থেকে ট্রেনে ইনদওর। সেখান থেকে খাজরানা গণেশ মন্দিরের দূরত্ব ১৭ মিনিট। কাছের বিমানবন্দর ইনদওর।

এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন