১। মানুষের চারিত্রিক রূপ কেমন হবে, তার সিংহভাগটাই নির্ভর করে তাঁর রাশির উপরে। জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, কোনও রাশির জাতক-জাতিকারা যেমন শান্তিপ্রিয় হয়ে থাকেন, তেমনই কিছু রাশির মানুষেরা মুখিয়ে থাকেন ঝগড়ার জন্য। খুব সামান্য কারণেও মেজাজ চটে যেতে পারে তাঁদের।
২। সামনেই তো পুজো, ঠাকুর দেখতে যাওয়ার সঙ্গী খোঁজার আগে এক বার রাশিটা মিলিয়ে নিন। না হলে মাঝরাস্তায় ঝুটঝামেলা কারই বা ভাল লাগে!
৩। মেষ মেষ রাশির প্রতীকই হল অগ্নি। অত্যন্ত ছোটখাটো কারণেই মাথা গরম করে ফেলেন এই রাশির জাতক-জাতিকারা। সহজেই ধৈর্যহারা হয়ে পড়ার কারণে নানাবিধ গোলমালে জড়িয়ে পড়ারও প্রবণতা আছে তাঁদের।
৪। তবে এর অন্য আরও একটি দিক হল, মেষ রাশির মানুষের মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে আগলে রাখার প্রবণতা দেখা দেয়। এঁরা তাঁদের পছন্দের মানুষটির জন্য তর্কের যে কোনও শিখরে পৌঁছে যেতে পারেন। তবে কারও সম্পর্কে দীর্ঘদিন রাগ পুষে রাখার পাত্র নয় এই রাশি।
৫। মিথুন রাশি সঙ্গী মিথুন রাশির? যে কোনও সময়ে তাঁদের রণমূর্তির সম্মুখীন হওয়ার জন্য এখনই প্রস্তুত থাকুন। নিজের কথায় অনিচ্ছাকৃত ভাবে হলেও অপর জনকে আঘাত করে থাকেন এঁরা। এই রাশির মানুষেরা কখন যে বচসায় জড়িয়ে পড়বেন, বোঝা মুশকিল।
৬। সিংহ রাশি নামের মধ্যেই লুকিয়ে স্বভাব। অত্যন্ত মাথা গরম হয় সিংহ রাশির জাতকদের। নিজের প্রতি সামান্য অপমান সহ্য করতে পারেন না বলেই চটজলদি ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন এঁরা।
৭। সিংহ রাশির মানুষের মধ্যে নেতৃত্বসত্তা প্রবল থাকে। যে কোনও বচসার ক্ষেত্রেই পিছপা হতে রাজি নয় এই রাশি।
৮। কন্যা রাশি এই রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত ঠান্ডা মাথার হয়ে থাকেন। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষত কাজের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণতা খুঁজতে গিয়েই অনেক সময়ে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। সব কিছুকেই নিজের মনমতো গড়তে চান এই রাশির জাতক-জাতিকারা।
৯। ধনু রাশি এই রাশির মানুষেরা রাগী হলেও ঝামেলাকে খুব বেশি টেনে বাড়াতে চান না। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই বেরিয়ে আসেন বচসা থেকে। ধনু রাশির মানুষের সোজাসাপটা মন্তব্যই তাঁকে সবার থেকে আলাদা করে তোলে।
১০। বৃষ রাশি অত্যন্ত জেদি স্বভাবের হয়ে থাকেন এই রাশির জাতক-জাতিকারা। কেউ এঁদের কথা না শুনলেই রেগে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। মতের মিল না হলেই বিপদ। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।