১৯৬০ সালে শুরু এই ঢাকুরিয়া প্রগতি সঙ্ঘের পুজোর পথ চলা। অনান্য আর পাঁচটা পুজোর মতোই সাবেকি পুজো দিয়ে হাতে খড়ি। তবে সময়ের সঙ্গে বদল এসেছে পুজোর ধরনে। গত ছয় বছর ধরে ঢাকুরিয়ার এই পুজো থিম পুজোই করে আসছে। এই বছরে রয়েছে চমক।
মায়ের ‘চিরন্তনী’ রূপ হল ভাবনার মূল বিষয়। এক সময় পুজো হত কেবল রাজাদের রাজবাড়িতে। ধীরে ধীরে সেই পুজো রাজবাড়ি গণ্ডি ছাড়িয়ে শুরু হয় জমিদার বাড়িতে মাতৃ আরাধনার। কিন্তু সেখানেও প্রবেশ নিষেধ সর্বসাধরণের। মা সবার। তা হলে এই বিভেদ কেন? বারো ভুঁইয়ার হাত ধরে পুজো নেমে এল রাস্তায়। শুরু হল বারোয়ারি পুজোর।
ক্রমে সময়ের সঙ্গে বদল এসেছে তাতেও। এখন থিম পুজোর রমরমা। মাতৃ প্রতিমাও তৈরি হয় সেই ভাবেই। তবু কোথাও যেন আমাদের মনের গভীরে রয়ে গিয়েছে মায়ের সেই সাবেকি, চির হাসিময় রূপ। আর এই পুজো মণ্ডপ সেজে উঠবে সেই রূপে। এ ছাড়াও পুজোর সময় কিছু সামাজিক কাজের সঙ্গে সঙ্গে নবমীর দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পুজোর সদস্য ত্রিবিক্রম মিত্র জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের মণ্ডপে আমরা মায়ের সাবেকি চিরন্তন রূপ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। মণ্ডপে নানা রকম জিনিসের তৈরি মাতৃ মূর্তি রয়েছে। মূল প্রতিমা নিয়ে মোট ১১৫টি মূর্তি রয়েছে আমাদের মণ্ডপে।’’
থিম : চিরন্তনী
থিম শিল্পী : অভীক বড়াল
প্রতিমা শিল্পী : কৌশিক পাল
কী ভাবে যাবেন : ঢাকুরিয়া স্টেশনের দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মের লাগোয়াই এই পুজা মণ্ডপ।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।