Durga Puja Celebration

শহর মেদিনীপুরের পুজোর আকাশে এ বার ‘মা’-এর ছড়াছড়ি!

থিম-যুদ্ধ থেকে পিছিয়ে নেই শহর মেদিনীপুরও। আর এ বার থিমের অনেকটা জুড়ে রয়েছে ‘মা’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৮ ১৫:৩৩
Share:

এ বার বিধাননগর সর্বজনীনের থিম মা। নিজস্ব চিত্র।

দর্শকদের চমক দিতে শহর থেকে শহরতলি, সর্বত্রই পুজো উদ্যোক্তাদের ভরসা নানা থিম। থিম-যুদ্ধ থেকে পিছিয়ে নেই শহর মেদিনীপুরও। আর এ বার থিমের অনেকটা জুড়ে রয়েছে ‘মা’।

Advertisement

শহরের যে সব পুজো প্রত্যেকবার দর্শক টানে তারমধ্যে অন্যতম বিধাননগর সর্বজনীন। এ বার এখানকার পুজোর থিম ‘মা’। কেমন? পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা তথা স্থানীয় কাউন্সিলর মৌ রায়ের কথায়, “মা-ই তো সব। অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির সূচনা হবে, এই চিন্তাভাবনা থেকেই এই থিম।” পুজোর অন্য এক উদ্যোক্তার কথায়, “দশ হাতে দশটি অস্ত্র নিয়ে দুর্গা বধ করেছিলেন অসুরকে। আমরা চাই, বর্তমান দিনে নারীরাও একই ভাবে সমাজে বেড়ে চলা অপরাধ ঠেকাতে দেবীর মতোই ময়দানে নামুন।”

কিছু দূরেই বিধাননগর (পূর্ব) সর্বজনীনের পুজো। এ বার এখানকার পুজোর থিম ‘সহস্র নয়নের মাঝে শক্তিরূপিনী মা’। ফ্লেক্সে জ্বলজ্বল করছে ‘মা’ লেখাটাই। গোলকুয়াচক সর্বজনীনের পুজোর থিম ‘বিশ্ব মায়ের আঁচল পাতা’। এখানেও সেই মা। একটু অন্য ভাবে কেমন? পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা তথা কলেজিয়েট স্কুলের (বালক) সহ-শিক্ষক দীপঙ্কর ষন্নিগ্রাহীর কথায়, “আমাদের পুজো বিশ্বশান্তির বার্তা দেবে। দেশমাতৃকার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতেই এই থিম।”

Advertisement

আরও পড়ুন: ভিড়ে চোখ টানতে ভরসা বুটিকের শাড়ি​

আরও পড়ুন: পটুয়া পাড়ার পুজো প্রস্তুতি​

শহরের সৃজনী সর্বজনীনের পুজোর থিম ‘লাল মাটির দেশে...মা’। ছোটবাজার সর্বজনীনের থিম ‘মাতৃরূপেণ: সংস্থিতা’। দুর্গা এখানে সোনার গয়নায় সাজবেন। অলিগঞ্জ সর্বজনীনের থিমও ‘মাতৃরূপেণ: সংস্থিতা’। শহরের তাঁতিগেড়িয়া টাউন কলোনী সর্বজনীনের থিম ‘নারী তুমি জাগো’। থিমের মণ্ডপ গড়ে তাক লাগাতে প্রস্তুত এই সর্বজনীন। শহরের এক পুজো উদ্যোক্তা বলছিলেন, “থিম একটু অন্য ভাবে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। মণ্ডপে ঢুকেই দর্শকদের মনে হবে, এক অন্য জগতে প্রবেশ করেছেন!” ছোট থেকে মায়ের তত্ত্বাবধানে বেড়ে ওঠা। খেতে শেখা থেকে শুরু করে হাত ধরে স্কুলে প্রথম পা দেওয়া। পুজোর শহরে কান পেতে শোনা যাচ্ছে, মেদিনীপুরের কিছু পুজো না কি ফিরিয়ে দেবে ছোটবেলার স্মৃতি। মেদিনীপুরের এক পুজো উদ্যোক্তা বলছিলেন, “আমরা অন্য রকম একটা বিষয় নিয়ে থিম করতে চেয়েছি। মা-এর থেকে ভাল বিষয় আর কিছু হত না।” তাঁর কথায়, “মা-কে আমরা বহুরূপে দেখতে পাই। দেশকে মা বলে ভাবতে পারি। দেবীকে মা বলে ভাবতে পারি। প্রকৃতিকে মা বলে ভাবতে পারি। মায়ের ভূমিকা ব্যাপক। মায়ের জায়গা সবার উপরে। মায়ের ভূমিকা বিভিন্ন ক্ষেত্রে।” তাঁর কথায়, “ছেলেমেয়ে যখন তার মায়ের কাছে ফিরে যায় তখন যে কি রকম অনুভূতি হয় তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।”

বিধাননগর সর্বজনীনের মৌ রায় থেকে গোলকুয়াচক সর্বজনীনের দীপঙ্কর ষন্নিগ্রাহী, সকলেই একযোগে জানাচ্ছেন, “চমক তো থাকবেই। ’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement