থিমপুজোর বাড়বাড়ন্তে এখন কুমোরটুলির দুর্গাও সেই পথেই হাঁটছেন! যে কুমোরটুলি চিন্ময়ী মায়ের মৃন্ময়ী রূপ গড়ার কারিগর!
কুমোরটুলি রোডের উপরে এই প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বারোয়ারি দুর্গাপুজোর এ বার ৯৩তম বছর। ১৯৩৮ সালে খোদ সুভাষচন্দ্র বসু এই পুজো কমিটির সভাপতি ছিলেন। যে বারোয়ারি সর্ব প্রথম একচালা প্রতিমা থেকে আলাদা আলাদা ভাবে দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশের সার্বিক দুর্গাপ্রতিমার প্রচলন করেছিল বহু দশক আগে, তাদের এ বারের থিম 'লড়াই'।
পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য দেবাশিস ভট্টাচার্য আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, 'লড়াই' হল তাঁদের থিমশিল্পী সুবল পালের নিজস্ব ভাবনা। থিমে বাংলার বিলুপ্তপ্রায় হস্তশিল্পের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলার হস্তশিল্পকে হারিয়ে কী ভাবে যন্ত্রশিল্প দখল নিচ্ছে, মণ্ডপ জুড়ে সেটাই ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। রোবটের হাত আর মানুষের হাতের বিভিন্ন ভঙ্গিমা কৃত্রিম ভাবে বানিয়ে সেগুলোকে নানা ভাবে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। রোবট-হাত সামনে বড় ও পরিস্ফুট, মানুষের হাতগুলো পিছনের দিকে তুলনায় ছোট ও আবছা আকার। মানুষের সৃষ্টি রোবট আজ মানুষেরই ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠেছে! চিরন্তন হস্তশিল্প যেন আর শাশ্বত নয়! এ হেন ভাবনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই গড়া হয়েছে প্রতিমা।
থিম: লড়াই
ভাবনায় : সুবল পাল
প্রতিমা শিল্পী : নবকুমার পাল
কী ভাবে যাবেন : বাগবাজার থেকে রবীন্দ্র সরণি ধরে এগিয়ে কুমোরটুলি। ডান দিকের রাস্তার উপরে এই পুজো।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।