Salkia Sadharan Durga Puja

মা-বাবাই শেষমেশ ভগবান! এমনই একটি বিষয় ধরে এ বারের পুজো তাঁদের!

রক্ত মাংসের দেবতা যদি কেউ থেকে থাকেন তা হলে, তাঁরা হলেন প্রত্যেকের বাবা-মা। এই ভাবনাতেই সেজে উঠছে সালকিয়া সাধারণ দুর্গা উৎসবের এই বছরের পুজো মণ্ডপ।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৩৮
Share:

সালকিয়া সাধারণ দুর্গা উৎসব

আমাদের প্রত্যেকের জীবনে মা-বাবার অবদান কতটা, তা ঠিক ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। জন্ম থেকে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রতিটা মুহূর্তে, এমনকি তার পরেও স্তম্ভ হিসেবে পাশে থাকেন তাঁরা। কোনও দেবতার থেকে কম যান না এই দু’জন। রক্ত মাংসের দেবতা যদি কেউ থেকে থাকেন তা হলে, তাঁরা হলেন প্রত্যেকের বাবা-মা। এই ভাবনাতেই সেজে উঠছে সালকিয়া সাধারণ দুর্গা উৎসবের এই বছরের পুজো মণ্ডপ।

Advertisement

৯০তম বর্ষ এসে এই পুজো কমিটি তাদের ‘ঈশ্বর’ থিমের মাধ্যমে এই ভাবনাকেই তুলে আনছে। মণ্ডপকে ছয়টি ভাগ করা হয়েছে এখানে। প্রতিটি ভাগে রয়েছে সন্তানদের নিয়ে মা-বাবার সংগ্রাম। একটি তাঁরা দেখাবে দিনমজুর হিসাবে এক মা তাঁর সন্তানকে পিঠে বেঁধে কাজ করছেন। অন্য জায়গায় দেখানো হবে এক বাবা নিজের হুইলচেয়ারে বসেও সন্তানকে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগাচ্ছে। এইভাবে ছয় নম্বর ভাগে দেখা যাবে দেবী দুর্গা আছেন। বাকি পাঁচটি অংশ মায়ের আঁচলের সঙ্গে যুক্ত। থিমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে।

পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ রাজু সামন্ত বলেন, ‘‘আমাদের সবার জীবনে বাবা-মার অবদান অনেক। বাস্তবে ভগবান তাঁরাই। মণ্ডপ দেখে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আমরা একটি বিশেষ বার্তা দিচ্ছি তরুণ-তরুণীদের, যেখানে বোঝানো হবে বাবা-মাকে যেন বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো না হয়।’’

Advertisement

থিম শিল্পী ও প্রতিমা শিল্পী - শান্তনু দে বক্সী

যাবেন কী ভাবে- হাওড়া স্টেশনে নেমে শালকিয়া-বাবুরডাঙ্গা অটো বা বাস ধরে বাবুরডাঙ্গা নামতে হবে। সেখানে নামার পর উল্টো দিকের রাস্তা ধরে এগোলে মাঠ পড়বে সেখানেই পুজো।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন