১৯৬০ সালে এই পুজোর শুরু। জন্মলগ্ন থেকে আজ অবধি একই নিষ্ঠা নিয়ে এই পুজো হয়ে আসছে। অতি স্বল্প বাজেট এ শুরু হওয়া এই পুজো আজ উত্তর কলকাতার বিশিষ্ট পুজোগুলির মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। পুজোয় চাকচিক্যর চেয়ে নিষ্ঠা ভরে মা কে পুজো করা বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়।
পুজোর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল পুরো পাড়া একটি পরিবারের মতন মাতৃ আরাধনায় মেতে ওঠে। প্রতি বছর এই পুজো আধুনিক সমাজের বিভিন্ন ছবি মানুষের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করে। এই বছরের পুজো বিগত বছরের পুজোর মতো একটা সামাজিক বার্তা নিয়ে আসছে। এই বছরের থিম ‘সন্ধি’। ‘সারোগেট মাদার’ -এর ভাবনা নিয়ে এ বারের পুজো। ‘সারগেট মাদার’দের যে মানসিক যন্ত্রণা সেটাই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছে এই পুজো।
থিম শিল্পী সন্দীপ সাহার কথায়, ‘‘আমরা এখন নানা ধরনের চুক্তির মধ্যে দিয়ে যাই। সে রকম একটি চুক্তি হল সারোগেসি চুক্তি। কিন্তু এই চুক্তির ফলে যে মা সেই শিশুকে ধারণ করেন সন্তানের থেকে আলাদা হওয়ার পরে তাঁর মনের অবস্থা হয়, কী হয় সেটাই আমাদের মূল ভাবনা।’’
পুজোর সম্পাদক সুব্রত ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের থিমের নাম ‘সন্ধি’। সারোগেট মায়েদের যে যন্ত্রণা সেটাই এখানে তুলে ধরা হয়েছে। মণ্ডপের প্রবেশের মুখেই দেখা যাবে ‘মা’ বসে আছে এবং ঈগল পাখি মুখে করে তাঁর বাচ্চা নিয়ে চললে যাচ্ছে। সারগেসিও যেন তাই।’’
থিম : সন্ধি
থিম শিল্পী : সন্দীপ সাহা
প্রতিমা শিল্পী : রাজেশ মণ্ডল
কী ভাবে যাবেন : শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের ৪ নম্বর গেট দিয়ে বেরিয়ে বাঁ দিকে শ্যামবাজার স্ট্রিট ধরে মিনিট দুয়েক এগোলেই পৌঁছে যাবেন মণ্ডপে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।