১৯৩৬ সালে প্রথম পুজো শুরু করে আদি যাদবপুর সর্বজনীন দুর্গাউৎসব কমিটি। এই কমিটির পুজো যাদবপুরের সবচেয়ে পুরনো। শুধু যাদবপুর নয় দক্ষিণ কলকাতার পুরনো বটে। এই বছর তাঁদের পুজো ৮৭ বছরের। এই থিমের যুগেও নিজেদের ঐতিহ্য বজায় রেখে পুরনো ধাঁচেই পুজো করে আসছে এই কমিটি। এই বারও তার অন্যথা হচ্ছে না।
আদি যাদবপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজো মণ্ডপ সাজছে বাঁশ, দরমা ইত্যাদি দিয়ে। মণ্ডপ জুড়ে থাকছে এলইডি আলোর ব্যবহার। আলোর প্রয়োগে মণ্ডপের ভিতরের কারুকাজ পদ্ম ফুলের মতো দেখাবে বলে দাবি করছে ক্লাবের কর্তারা।
পুজো মণ্ডপের বাইরেও থাকবে এলইডি লাইট। চন্দননগরের লাইট থাকছে। প্রতিমায় অবশ্যই থাকছে পুরনোর ছোঁয়া। প্রতিমা পুরো মাটির তৈরি করা হচ্ছে। পুজোর তিন দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সপ্তমীর দিন থাকছে নৃত্যা অনুষ্ঠান, অষ্টমীর দিন হবে বাচ্চাদের জন্য ম্যাজিক শো, নবমীর দিন বাইরের শিল্পীদের নিয়ে গানের অনুষ্ঠান করা হবে। অষ্টমীর দিন সবার জন্য ভোগ বিতরণ থাকছে। দশমীর দিনই প্রতিমার বিসর্জন করা হবে।
প্রতিমা শিল্পী: নবকুমার পাল
যাবেন কী করে: যাদবপুর রেল স্টেশন থেকে বেরিয়ে ৮বি বাস স্যান্ড থেকে হেঁটে
যাদবপুর বয়েজ হাই স্কুলের উল্টো দিকের মাঠেই এই পুজো।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।