গরমের সময় এসি (এয়ার কন্ডিশনার) ছাড়া থাকা কঠিন। কিন্তু বিদ্যুতের বিল আকাশ ছুঁলে, তা অবশ্যই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আরাম বজায় রেখেও কী ভাবে এসির খরচ কমানো যায়, তার কিছু সহজ টিপস এখানে দেওয়া হল।
সঠিক তাপমাত্রা নির্বাচন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের মূল মন্ত্র হল সঠিক তাপমাত্রা। এসি ২৫-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সেট করুন। প্রতি ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমালে ৬% বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়, এটা মাথায় রাখুন।
নিয়মিত সার্ভিসিং: এসি নিয়মিত সার্ভিসিং করানো জরুরি। নোংরা ফিল্টার ও কয়েল এসিকে বেশি শক্তি খরচ করতে বাধ্য করে, যা বিদ্যুতের বিল বাড়ায়। বছরে অন্তত একবার এসি সার্ভিসিং করান।
ইনভার্টার এসি-র ব্যবহার: নতুন এসি কেনার সময় ইনভার্টার এসি বেছে নিন। সাধারণ এসির তুলনায় ইনভার্টার এসি অনেক কম বিদ্যুৎ খরচ করে এবং এর পারফরম্যান্সও ভালো।
টাইমার সেট করুন: রাতে ঘুমানোর সময় টাইমার ব্যবহার করুন। এসি সারা রাত চালানোর পরিবর্তে ২-৩ ঘণ্টার জন্য টাইমার সেট করুন। এতে ঘর পর্যাপ্ত ঠান্ডা থাকবে এবং বিদ্যুৎও বাঁচবে।
ফ্যানের ব্যবহার: এসি চালানোর সময় ফ্যানও চালান। ফ্যান ঘরের ঠান্ডা বাতাসকে দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে, ফলে এসি কম সময় ধরে চালাতে হয়।
সিলিং এবং জানালার উপর নজর: এসি চালানোর সময় ঘরের দরজা-জানালা এবং যে কোনও ফাঁক বন্ধ রাখুন। এতে ঠান্ডা বাতাস বাইরে বের হতে পারবে না এবং এসি উপর চাপ কম পড়বে।
সূর্যালোক এড়িয়ে চলুন: সরাসরি সূর্যালোক ঘরে প্রবেশ করলে ঘর দ্রুত গরম হয়। পর্দা ব্যবহার করে সূর্যের তাপ ঘরে ঢোকা আটকান। এতে ঘর স্বাভাবিক ভাবেই ঠান্ডা থাকবে।
সঠিক বিটিইউ রেটিং: আপনার ঘরের আকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সঠিক বিটিইউ রেটিংয়ের এসি কিনুন। ছোট ঘরের জন্য বড় এসি ব্যবহার করলে বিদ্যুতের অপচয় হয়।
ছাদ ইনসুলেশন: যদি সম্ভব হয়, তা হলে বাড়ির ছাদ এবং দেওয়াল ইনসুলেট করুন। এটি গরম বা ঠান্ডা বাতাসকে বাইরে যেতে দেয় না, ফলে এসি-র উপর চাপ কমে এবং বিদ্যুতের বিলে সাশ্রয় হয়। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)