ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করে তার শরিক হতে আগ্রহ প্রকাশ করলেন ঢাকা সফরে আসা ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তিনি জানান, নিজেদের স্বার্থেই একটি স্থিতিশীল, শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রয়োজন ভারতের। এ জন্য সব ধরনের সহযোগিতায় দিল্লি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বুধবার জেটলি বলেন, ‘‘সার্বিক সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের দ্রুতগতি দেখে আমি মুগ্ধ। ভারত এই উন্নয়নের অংশীদার হতে চায়।’’ দু’দেশের অর্থমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সহজ শর্তের একটি ঋণচুক্তিতে সই করেন দিল্লি ও ঢাকার আধিকারিকেরা। বার্ষিক মাত্র ১ শতাংশ হারে ৪০০ কোটি ডলারের এই ঋণ-সাহায্য ২০ বছরে ঢাকাকে শোধ করতে হবে। জেটলি জানান, সাম্প্রতিক কয়েক বছরে তিনটি পর্যায়ে নামমাত্র সুদে বাংলাদেশকে মোট ৮০০ কোটি ডলার ঋণ-সাহায্য দিয়েছে ভারত। আর কোনও দেশকে ভারত এত ঋণ-সাহায্য দেয়নি। অর্থমন্ত্রী মন্তব্য করেন— বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে দিল্লি যে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়, এটা তারই প্রমাণ। ভারতের সাহায্য-অর্থে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, রেলপথ, সড়ক, জাহাজ পরিবহণ, বন্দর ইত্যাদির মতো ১৭টি পরিকাঠামোমূলক ক্ষেত্র আধুনিক হয়ে উঠবে। বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন: মোদীর কাজ ছ’মাসে করব, দাবি রাহুলের
বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিসার সুবিধা এখন অনেক সহজ করেছে ভারত। এ দিন ‘ক্যাশলেস ভিসা সার্ভিস’-এরও উদ্ধোধন করেন জেটলি। এই ব্যবস্থায় স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার ডিজিট্যাল ব্যবস্থায় অনলাইনে ভিসার ফি জমা দেওয়া যাবে। ঢাকায় ভারতের এক্সিম ব্যাঙ্কের একটি শাখারও সূচনা করেন অর্থমন্ত্রী।