Bangladesh News

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমর্থন চান বালুচ মুক্তিযোদ্ধারা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উঠে এল কলকাতায়। বাংলাদেশের বিজয় উৎসবে ভাসিয়ে দিল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাস। আশপাশে বিস্ময়। এমনটা হয় নাকি।

Advertisement

অমিত বসু

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৩:২৪
Share:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উঠে এল কলকাতায়। বাংলাদেশের বিজয় উৎসবে ভাসিয়ে দিল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাস। আশপাশে বিস্ময়। এমনটা হয় নাকি। দুই বিশ্ববিদ্যালয় মিলে একাকার হওয়ার কারণটা ছিল। প্রতিফলন দেখা যায়নি। দেখা গেল ১৬ ডিসেম্বর। ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে রবীন্দ্রভারতী যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সাংস্কৃতিক উৎসবে উজ্জ্বল হবে প্রাঙ্গন। এখানেই শেষ নয়। দুই বিশ্ববিদ্যালয় হাতে হাত রেখে যেতে চায় অনেক দূর। চার মাস আগেই চুক্তি দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের। তার শর্ত পালন শুরু। সাংস্কৃতিক সংযোগেই সম্পর্ক শেষ নয়। শিক্ষার সমন্বয়ে সমৃদ্ধি। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর যৌথ গবেষণায় নতুন দিগন্ত স্পর্শের আশ্বাস। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আদান-প্রদানে শিক্ষার যৌথ সংসারে নতুন অধ্যায়ের সূচনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এএএমএস আরেফিন সিদ্দিকি উৎসবের সাক্ষী। সঙ্গী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপার্সন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। বন্যা বিশ্বভারতীর সঙ্গে যুক্ত ছাত্রী অবস্থাতেই। রবীন্দ্রসঙ্গীত শিখতেন মোহরদি মানে কনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। দু’জনের সম্পর্ক ছিল মা-মেয়ের মতো। এসএসকেএম হাসপাতালে অসুস্থ মোহরদিকে দেখতে গিয়ে একটু ঠাট্টা করেই জিজ্ঞেস করেছিলাম, হাসপাতালের খাবার খান কী করে। চলুন বাড়ি চলুন। সঙ্গে সঙ্গে হেসে জবাব, হাসপাতালের খাবার খাব কোন দুঃখে। এক্ষুনি আমার মেয়ে আসবে খাবার নিয়ে। দশ মিনিটের মধ্যে টিফিন কেরিয়ার নিয়ে কন্যা বন্যার প্রবেশ। বন্যার অনুযোগ, একবারেই কথা শোনেন না। ডাক্তারের মানা না মেনে খালি লজেন্স খেতে চান। তবু বায়না রাখি। বলি, একটু চুষে ফেলে দিতে, কথা শুনলে তো। লজেন্স মুখে দিলে কড়মড়িয়ে চিবিয়ে শেষ করে দেন।

Advertisement

বিশ্বভারতী, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রী যথেষ্ট হলেও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যাটা আরও বেশি। সে কারণেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রবীন্দ্রভারতীর সৌহার্দ্যের বন্ধন। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া নেওয়ায় আরও গভীর হবে দু’দেশের সংস্কৃতিবন্ধন। সহযোগিতা যত বাড়বে ছাত্রছাত্রীরা আরও নিজেদের সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাবে।

আরও খবর: ভারত-বাংলাদেশ যাত্রী যাতায়াত এ বার জাহাজেও, পথ খোঁজা চলছে

Advertisement

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পাশে চাইছে পাকিস্তানের বালুচরা। বালুচিস্তানে স্বাধীনতা সংগ্রাম অব্যাহত। বিজয় দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল। বিষয় ছিল ‘১৯৭১ টু ২০১৬, জাস্টিস অ্যান্ড জেনোসাইড ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’। বালুচ জাতিকে ধ্বংস করতে নৃশংস আক্রমণ চালাচ্ছে পাকিস্তান। ভাষণে অত্যাচারের ছবিটা স্পষ্ট করেছেন নির্বাচিত বালুচ নেতা মির সুলেমান জান আহমেদজি। তিনি বালুচিস্তানের কালাটের শাসক ছিলেন। ২০০৬ থেকে ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের মতই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়ছে বালুচরা। অত্যাচার মাত্রা ছাড়াচ্ছে। পাকিস্তান যে ভাবে বাঙালি বিনাশে নৃশংস হয়েছিল। একই ভাবে বালুচদের শেষ করতে চাইছে। বাংলাদেশ পাশে থাকলে মুক্তি সংগ্রামের শক্তি বাড়বে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম শতধারায় উৎসারিত হয়েছিল। বালুচরা তাদের কাছে সেই সহযোগিতা আশা করে।

সিন্ধু, পঞ্জাব, নর্থওয়েস্ট ফ্রন্টিয়ার, বালুচিস্তান- চার রাজ্য নিয়ে পাকিস্তান। চার রাজ্যের ভাষা সংস্কৃতি আলাদা। পাকিস্তানের সরকারি ভাষা উর্দু, ইংরেজি হলেও রাজ্যগুলো নিজেদের ভাষায় অভ্যস্ত। অন্য ভাষার মধ্যে রয়েছে পঞ্জাবি, সিন্ধি, পুস্তু, ব্রাভি, বালুচি। বালুচিস্তানের লোকেরা বালুচি ভাষায় কথা বলেন। উর্দু তাঁদের কাছে দুর্বোধ্য। বাংলাদেশের বাংলা কেড়ে পাকিস্তান যেভাবে উর্দু চাপাতে চেয়েছিল সে ভাবেই বালুচদের মুখ থেকে বালুচি নিয়ে উর্দু বসাতে চাইছে। পাকিস্তান বিরোধী আক্রোশ বাড়ছে বালুচিস্তানে। পাকিস্তানের নিপীড়ন থেকে নিস্তার চাইছে তারা। সমর্থন চাইছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন