চার মহিলা জঙ্গির দলে ডাক্তারও ধৃত ঢাকায়

একটি মেয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক। বাকি তিন জন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগের ছাত্রী। ঢাকা থেকে এই চার মহিলা জঙ্গিকে সোমবার রাত থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে পুলিশের বিশেষ শাখা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)। র‌্যাব-৪-এর প্রধান লুৎফুল কবির জানিয়েছেন, ধৃত চার মহিলাই জেএমবি (জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ)-এর সঙ্গে যুক্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঢাকা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৬ ০২:৪৪
Share:

একটি মেয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক। বাকি তিন জন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগের ছাত্রী। ঢাকা থেকে এই চার মহিলা জঙ্গিকে সোমবার রাত থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে পুলিশের বিশেষ শাখা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)।

Advertisement

র‌্যাব-৪-এর প্রধান লুৎফুল কবির জানিয়েছেন, ধৃত চার মহিলাই জেএমবি (জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ)-এর সঙ্গে যুক্ত। তিনি জানিয়েছেন, জুলাইয়ের শেষে টঙ্গি থেকে তাঁরা জেএমবি-র ‘দক্ষিণাঞ্চলের আমির’ মহম্মদ মাহমুদুল হাসান (২৭) কে গ্রেফতার করেন। হাসানই জেরায় জানিয়েছিল, মহিলা জঙ্গিদের একটি দলও তাদের সঙ্গে কাজ করে। তার কাছে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার গভীর রাতে ঢাকার বাড়ি থেকে আকলিমা রহমান নামে একটি মেয়েকে র‌্যাব গ্রেফতার করে। কয়েক মাস আগে আকলিমা প্রায় ১২ হাজার টাকা চাঁদা তুলে হাসানকে দিয়েছিল। বেসরকারি মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের এই ছাত্রীকে জেরা করে তার দুই সহপাঠী ও ঐশী নামে মেডিক্যাল কলেজের ওই শিক্ষানবিশ ডাক্তারের নাম জানতে পারে পুলিশ।

আকলিমা পুলিশকে জানিয়েছে, জঙ্গি কার্যক্রম ও সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার নাম করেই সে কয়েকটি মেয়ের কাছ থেকে চাঁদা তুলেছিল। পরে সকলেই জেএমবি-তে যোগ দেয়। ১২ হাজার টাকার মধ্যে ঐশী একাই ৮ হাজার টাকা দিয়েছিল। এ বছর জানুয়ারিতে এমবিবিএস শেষ করে সে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষানবিশ হিসেবে যোগ দেয়। তার বাবা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও মা সিরাজুল মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক। এ দিন সকালে তার বাড়ি থেকে পুলিশ ঐশীকে গ্রেফতার করে। তার পরে মৌ ও মেঘনা নামে মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অন্য দুই ছাত্রীকেও গ্রেফতার করে।

Advertisement

র‌্যাবের প্রধান জানিয়েছেন, ধৃত চার মহিলার ফোন থেকে জঙ্গিদের বহু ভিডিও ও তথ্য মিলেছে। ল্যাপটপ থেকে উস্কানিমূলক বক্তৃতার ভিডিও ক্লিপিংস এবং বাড়ি থেকে বহু জেহাদি বইপত্রও পাওয়া গিয়েছে। এই চার মহিলা সাত-আট মাস ধরে জেএমবি-র হয়ে কাজ করছিলেন।

এর আগে জুলাই মাসে টাঙ্গাইল থেকে জেএমবি-র মহিলা বাহিনীর ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের কাছে থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরকও উদ্ধার হয়েছিল। পুলিশের দাবি, এর মধ্যে তিন জনকে আত্মঘাতী অভিযানের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন